ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রেলসেতু পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার সকালে ও দুপুরে ওই উপজেলার খড়মপুর রেলসেতু সংলগ্ন তিতাস নদী থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। নিহতদের মধ্যে শুক্কুর মিয়া (৫৫) নরসিংদীর সদর উপজেলার দোআনি গ্রামের গাজী মিয়ার ছেলে ও মোজাম্মেল মিয়া (২২) একই জেলার পলাশ উপজেলার মোতালেব মিয়ার ছেলে।
নিহত অপর দুইজনের পরিচয় এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে আখাউড়া-সিলেট বাইপাস রেলপথের খড়মপুর তিতাস রেলসেতুতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার জানান, বাৎসরিক ওরশ উপলক্ষে খড়মপুর গেছু দারাজ কল্লা শহীদ (রহ.) এর মাজারে আসা লোকজন পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু পারাপার হচ্ছিল। এ সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন আসার সময় সেতুতে থাকা পারাপারকারীদের অনেকেই নদীতে ঝাঁপ দেয়।
পরে খবর পেয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাতে ঘণ্টা-খানেক চেষ্টা চালিয়ে নদী থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আখাউড়ার খড়মপুর মাজার শরীফে সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ওরস শুরু হয়েছে। ওরস উপলক্ষে প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ লাখ ভক্ত আশেকানরা সমবেত হন।
news24bd.tv/কামরুল