সিরাজগঞ্জে মেম্বারকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করলেন চেয়ারম্যান

সিরাজগঞ্জে মেম্বারকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করলেন চেয়ারম্যান

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ইউপি চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করায় ইউপি মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক খান কে কুপিয়ে জখম করেছে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের তামাই গ্রামে চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত জহুরুল ইসলাম উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।

ইউপি মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক ও স্থানীয়রা জানান, ইউপি মেম্বার রাজ্জাক ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর বানিয়াগাঁতী এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতির দায়িত্বে মনোনীত হয়।

সভাপতির পদ না পেয়ে কাজকে বাধাগ্রস্থ করতে ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল বিভিন্ন সময়ে ইউপি মেম্বার রাজ্জাকের থেকে চাঁদা দাবি করতেন। এ কারণে ইউপি মেম্বার রাজ্জাক বাদী হয়ে (৩ আগস্ট) বৃহস্পতিবার বেলকুচি থানায় ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। এরপর থেকেই তাকে ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পর আব্দুর রাজ্জাক তার আত্মীয় বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যায়।
অনুষ্ঠান শেষে ইউপি মেম্বার আব্দুর রাজ্জাকসহ মেহেদী নামের আরো একজন মোটরসাইকেলযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পরে চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম তার দলবল নিয়ে ইউপি মেম্বার আব্দুর রাজ্জাকের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম। এরপর কাছে গিয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে ইউপি মেম্বার রাজ্জাকের মাথায় কোপ বসিয়ে দেয় ইউপি চেয়ারম্যান।

চেয়ারম্যানের শ্যালক বাবু কুড়াল দিয়ে আবারো কোপ দেওয়ার চেষ্টা করলে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন মেহেদী ও মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক। রক্তাক্ত অবস্থায় ইউপি মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক থানায় গেলে পুলিশ তাকে ট্রিটমেন্ট করার জন্য পরামর্শ দেয়। প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম এর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল বাশার জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় ইউপি মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক থানায় এসেছিল। পরে তাকে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে। এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।