পত্নীতলায় ধর্ষণ মামলার পাঁচ আসামিকে আটক

পত্নীতলায় ধর্ষণ মামলার পাঁচ আসামিকে আটক

অনলাইন ডেস্ক

নওগাঁর পত্নীতলায় ধর্ষণ মামলার পাঁচ আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরও তিনজন পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আটকৃতরা হলেন, নিয়ামতপুর থানার কান্তাইল গ্রামের বাবুল রানা হামিদের ছেলে মো. জিহাদ হাসান জিসান (১৬) পত্নীতলা থানার পত্নীতলা বাজার এলাকার বাসিন্দা তৈমুর আলীর ছেলে তৈয়ব আলী (২২), পত্নীতলা বাজার এলাকার মোজাফফর রহমানের ছেলে মেজবাউল হক ইমন (২৭) গোপীনগর গ্রামের বিদ্যুৎ মন্ডলের ছেলে তন্ময় মণ্ডল (২০), এবং হরিরামপুর গ্রামের লবিবর রহমানের ছেলে মাহাবুব আলম (২৮) এ ঘটনায় পারভেজ, রিপন, মাহাবুব নামে আরও ৩ জন আসামি পলাতক রয়েছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, মাহবুব আলমের সঙ্গে ৩ মাস আগে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। মাহবুব আলম তাকে ৯ আগস্ট (বুধবার) নিয়ামতপুর থানার ছাতড়া বাজারে যেতে বলে। সকালে ভিকটিম তার ৪ বছরের মেয়েকে নিয়ে বাজারে পৌঁছালে মাহবুব ও জিসান তাদেরকে মোটরসাইকেলে বেড়ানোর কথা বলে পত্নীতলা থানার নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যায় এবং মাহবুব আলম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে (২৩) জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিম ও তার মেয়ে চিৎকার চেচামেচি করলে আশেপাশে থাকা অন্য আসামিরা এসে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।

ঘটনা প্রকাশ করে দিবে এবং পুলিশককে জানানোর ভয় দেখিয়ে তার বাবাকে কল দিলে তার বাবা ৫ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠায়।

পরে সন্ধ্যায় আসামি ইমন ও তন্ময় মণ্ডল তাদেরকে পত্নীতলা বাজারে নিয়ে গিয়ে আবার ৫০ হাজার টাকা দাবি করে তার বাবাকে কল করে।  

এদিকে তার বাবা টাকা না দিয়ে সেখানকার মেম্বার ও স্থানীয় লোকজন নিয়ে রাত একটায় পত্নীতলা বাজারে পৌঁছে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এই রকম আরও টপিক