বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক শক্তি নেই: প্রধানমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক শক্তি নেই: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক শক্তি নেই বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তাদের কোন শক্তিটা আছে, সেটাই আমরা জানতে চাই। কোনো শক্তি নেই তাদের সঙ্গে। লুটেরাদের সঙ্গে কেউ থাকে না।

শনিবার (১২ আগস্ট) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গণভবনে এ বৈঠক হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, এই খুনি, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, মানুষ হত্যাকারী, গ্রেনেড হামলাকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি বিএনপি থেকে দেশবাসী সাবধান। আর জামায়াত বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী, যুদ্ধাপরাধী তারা যে অপরাধ করেছে, তাদের আমরা শাস্তি দিয়েছি।

তাদের থেকেও দেশবাসী যেন সাবধান থাকে।

তত্ত্বাবধায়ক করার জন্য বিএনপি পাগল অথবা শিশুর সন্ধান পেয়েছে কিনা এ সময় জানতে চান আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যাদের হাতে রক্ত তারা কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে?

ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে চায়নি, এখন কেন তারা সেই তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আন্দোলন করছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন শেখ হাসিনা। বিএনপি দেশকে অন্ধকার যুগে নিয়ে যেতে চায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
 
তিনি বলেন,দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে নিয়ে বিএনপি এখন সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে।

জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‌‘৯৬ সালে বিএনপি ভোট চুরি করেছিল বলেই জনগণ তাদের ক্ষমতায় থাকতে দেয়নি। বিএনপি’র লুটপাট আর ধ্বংসের রাজনীতি চর্চার বিষয়ে দেশের মানুষকে সচেতন করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
 
বিএনপির এক দফা দাবি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি হচ্ছে, তাহলে কোন অপরাধে তাকে পদত্যাগ করতে হবে? তিনি বলেন, একসময় যারা বলেছিল, পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়; তারাই আজ তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কথা বলছি। বিএনপি তাদের পুরনো বক্তব্য অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক বানানোর জন্য পাগল এবং শিশু খুঁজে পেয়েছে কিনা তাও জানতে চান সরকারপ্রধান।

২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপির দেশে ৫০ হাজার নারীকে ধর্ষণ করেছে, আর ১১ হাজার নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশ যখন উন্নয়ন অগ্রগতিতে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদার আসনে, তখনই তারা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে দেশকে ধ্বংসের।

বিএনপি-জামায়াত দেশের সম্পদ লুটপাট আর মানুষের ক্ষতি করা ছাড়া কোনো কিছুই করতে পারে না- এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। বিরোধী দলের নেত্রী থাকা অবস্থায় কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাও জানতে চান শেখ হাসিনা।

বিদ্যুত, শিক্ষা, খাদ্য আইনশৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন খাতে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে যেখানে রেখে গিয়েছিল, সেখান থেকে দেশ কীভাবে পিছিয়ে গেল সেই প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

news24bd.tv/আইএএম