বিশ্বজুড়ে হঠাৎ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ

সংগৃহীত ছবি

বিশ্বজুড়ে হঠাৎ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ

অনলাইন ডেস্ক

গত এক মাসে বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার হঠাৎ করেই ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।  

শুক্রবার (১১ আগস্ট) ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ১০ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্বে ১৫ লাখ মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের ২৮ দিনের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি।

তবে এই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৫০০ জনের; যা আগের ২৮ দিনের তুলনায় ৫৭ শতাংশ কম।  

এর আগে গত মে মাসেই করোনা আর বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা নয় বলে ঘোষণা করেছিলেন ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক ড. তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। তবে তিনি সতর্কও করেছিলেন, রূপ বদলে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টে করোনা মাঝেমধ্যেই ফিরে আসতে পারে, বেড়ে যেতে পারে সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যাও।  

তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুসের আশঙ্কাই যেন হঠাৎ সত্যি হতে চলেছে।

ভাইরাসটির নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন বিজ্ঞানীরা এই ধরনটির সাংকেতিক নাম দিয়েছেন ইজি.৫। যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে নতুন করে যাঁদের করোনা শনাক্ত হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে প্রায় ১৭ শতাংশ নতুন ধরনটিতে আক্রান্ত।  

ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে। এসব দেশে সংক্রমণ ১৩৭ শতাংশ বেড়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জাপানসহ উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণ, জনসমাগম, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস এবং নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। ধারণা করা হচ্ছে, যে মাত্রায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যাটি তার চেয়ে আরও অনেক বেশি হতে পারে। কারণ, অনেক দেশেই করোনা শনাক্তের পরীক্ষা কমে গেছে।  

নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অরেলিয়ান রুসো। জনগণকে তিনি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।  

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশগুলোকে করোনার টিকা প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

news24bd.tv/আইএএম