জুয়েলারি শিল্পের বিকাশ নিয়ে ছায়া সংসদ, প্রচারিত হবে এটিএন বাংলায়

জুয়েলারি শিল্পের বিকাশ নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে চ্যাম্পিয়ন দল ঢাকা কলেজের বিতার্কিকরা (ট্রফি হাতে), পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন।

জুয়েলারি শিল্পের বিকাশ নিয়ে ছায়া সংসদ, প্রচারিত হবে এটিএন বাংলায়

অনলাইন ডেস্ক

জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে সরকারি বেসরকারি ভূমিকা নিয়ে ‘ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতাটি আগামীকাল শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে এটিএন বাংলায় প্রচারিত হবে।  

ছায়া সংসদটির আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট (পিআরআই) এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। যুক্তি-পাল্টা যুক্তির মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিকে পরাজিত করে ঢাকা কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক মো. আলমগীর হোসেন, সাংবাদিক রুহুল আমিন রাসেল, সাংবাদিক কাবেরী মৈত্রেয় ও সাংবাদিক রেফায়েত উল্লাহ মীরধা।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, জুয়েলারি শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীরা স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত নয়।

স্বর্ণ চোরাচালানের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। আইনি দুর্বলতার কারণে স্বর্ণ চোরাচালানের সংক্রান্ত মামলার বিচার দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আমাদের দেশে শুল্ক গোয়েন্দারা যেভাবে স্বর্ণের দোকানে অভিযান চালিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল করে তা সঠিক নয়। স্বর্ণ শিল্পের বিকাশের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন করে ট্যাক্স, ভ্যাট সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জুয়েলারি পণ্য বিদেশের বাজারে জনপ্রিয় করতে এর নান্দনিকতা ও আধুনিকতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করাসহ ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশের বৈদেশিক আয়ের সিংহভাগই আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি ও অভিবাসী কর্মীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স থেকে। দেশের জুয়েলারি শিল্পে যে অমিত সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে তাতে অনুমান করা যায়, সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে জুয়েলারি শিল্পও তৈরি পোশাক রপ্তানির মতো বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে সব ছোট বড় জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানকে এক ছাতার নিচে আনার যে প্রচেষ্টা তা নিশ্চয়ই এই শিল্পের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে দেশে গোল্ড জুয়েলারির বাজার প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। যা জাতীয় বাজেটের প্রায় এক তৃতীয়াংশ। আমরা যদি জুয়েলারি শিল্পের দেশিয় চহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারি, তাহলে মোট জিডিপি ১ থেকে দেড় শতাংশ বৃদ্ধি সম্ভব বলে মনে করেন কিরণ।

news24bd.tv/আইএএম