বগুড়ায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। তবে এটিকে ষড়যন্ত্র বলছেন অভিযুক্ত এসআই। মিথুন সরকার (২৮) শেরপুর জেলার সদর উপজেলার বয়ড়া পালপাড়া গ্রামের সুনীল সরকারের ছেলে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর মিথুনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছিল এবং তদন্তের পর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার বগুড়া জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ ধর্ষণ মামলা হয়েছে বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, 'বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। '
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, বাদী ধর্ষণের ঘটনায় শেরপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা মামলা না নিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার প্রস্তাব দেন।
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাবু কুমার সাহা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, 'ওই নারী আমার থানায় এই বিষয় নিয়ে কখনো আসেননি।
থানায় মামলা না নেওয়ায় বগুড়া জেলা পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী। এরপর পুলিশ সুপার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং অভিযুক্ত এসআই মিথুনকে আদমদীঘি থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রশিদ (অপরাধ) বলেন, 'গত মাসে এসআই মিথুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই নারী। এরপর আমরা তদন্ত করে গত সপ্তাহে এসপি স্যারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। '
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসপি সুদীপ বলেন, 'তদন্তের পর এসআই মিথুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। তার ভাষ্য যাই হোক না কেন তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী এসআই মিথুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা জন্য সুপারিশ করা হবে। '
অভিযুক্ত এসআই মিথুন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যে। আমাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছেন ওই নারী। '
