নারী নির্যাতনের অভিযোগ, ডিসি অফিসের কর্মচারী বলে মামলা নেয়নি পুলিশ

নারী নির্যাতনের অভিযোগ, ডিসি অফিসের কর্মচারী বলে মামলা নেয়নি পুলিশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আইসিটি বিভাগে কর্মরত অফিস সহায়ক বাইতুল ওরফে আজিমের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হলেও সদর মডেল থানা পুলিশ মামলাটি এখনও রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে নির্যাতনের বিষয় জানিয়ে এবং প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন বাইতুলের স্ত্রী সোনিয়া বেগম। অভিযোগে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত অফিস সহায়ক বাইতুল ওরফে আজিম তার স্ত্রী সোনিয়া বেগমকে নানা অজুহাতে মারপিট করে।

সেই সাথে তার নামে বিভিন্ন এনজিও থেকে তার স্বামী ঋণ নিয়ে সেগুলো আর পরিশোধ করেনি। পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী কতৃক নিগৃহীত হয়ে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেন সোনিয়া বেগম। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৩ মে সোনিয়া বেগমকে তালাক প্রদান করেন বাইতুল ওরফে আজিম। এ ঘটনায় গত ৭ জুন বিজ্ঞ আমলী আদালতে সোনিয়া বেগম একটি মামলা দায়ের করলে বাইতুল ওরফে আজিম সোনিয়া বেগমকে আবারও কৌশলে বিয়ে করে মামলা থেকে অব্যাহতি পায়।
কিন্তু মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে আবারও বাইতুল ওরফে আজিম তার স্ত্রী সোনিয়া বেগমের ওপর অমানষিক নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে গত কয়েকদিন আগে সোনিয়া বেগম জ্বরে আক্রান্ত হলে তার স্বামী বাইতুল আজিম জ্বরের ওষুধ বলে সোনিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১০টি ঘুমের ওষুধ জোর করে খাওয়ায়। এতে সোনিয়া অচেতন হয়ে পড়লে তাকে বস্তায় ভরে পৌর এলাকার হরিপুর নামক স্থানে রাস্তার ধারে ফেলে রাখা হয়। পরে গত ১৩ আগস্ট স্থানীয় এক নারী সোনিয়াকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তার বাড়ি নিয়ে যায় এবং সোনিয়ার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হলে তার ভাই আরিফ পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি ৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তার পিতার বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ ঘটনার পর পুলিশ বেশ তৎপর হলেও পরে অজ্ঞাত কারণে মামলাটি রেকর্ড করা হয়নি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বাইতুল আজিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সদর মডেল থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তা দ্রুত রেকর্ড করা হবে।

অপরদিকে নিজ কার্যালয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে উঠা নারী নির্যাতনের অভিযোগ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাববুব-উল-ইসলাম বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন এবং তাকে শিবগঞ্জ উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।

news24bd.tv/TR  
 

এই রকম আরও টপিক