মিশর-চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিকল্পনা

ফাইল ছবি

মিশর-চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিকল্পনা

শাহানাজ ইয়াসমিন বিশ্বাস

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বড় সমস্যা হলো পেঁয়াজ গুদামে রাখা যায় না, পচে যায়। এটা একটা সমস্যা। চলতি বছরে আড়াই লাখ টন পেঁয়াজ কম উৎপাদন হয়েছে। গতবার দাম না পাওয়াতে চাষিরা পেঁয়াজ উৎপাদন কম করেছে।

সোমবার এক ব্রিফিংয়ে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আসছে মাত্র ৩ লাখ টন। ভারত তাদের রপ্তানি পণ্যের উপর ৪০ শতাংশ ট্যাক্স বাড়িয়েছে। তাই দাম বাড়বে।

কিন্তু, এটা শুনেই বাজারে দাম বাড়িয়ে ফেলেছে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভারতের এই সিদ্ধান্তের ফলে পেঁয়াজের বাজার কীভাবে সামলাবো সেটা মোকাবিলা করাই এখন আমাদের চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু ভারত কোনো ধরনের প্রস্তুতির সুযোগ না দিয়েই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, এটা দুঃখজনক।

তিনি জানান, এখন ভারতের বিকল্প বাজার হিসেবে মিশর, চায়না থেকে পেঁয়াজ আমদানি চেষ্টা করা হচ্ছে। চায়না, জাপান, ইরান, মিশর এসব দেশ থেকে কেউ যদি পেঁয়াজ আমদানি করতে চায় সরকার অনুমতি দেবে। এটা হলে দাম বাড়বে না।

তবে, হুট করে যাতে দাম না বাড়াতে পারে ব্যবসায়ীরা সেজন্য কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করা হবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি আরও বলেন, শক্তভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার। যাতে পেঁয়াজ মজুদ করে দাম না বাড়ায়।

এর আগে গতকাল রোববার কৃষিমন্ত্রী জানান, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেও, দেশে পেঁয়াজের দামে তেমন প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, 'আমরা এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছি, দেশে এসেছে মাত্র তিন লাখ টন। এর অর্থ হলো দেশেও পেঁয়াজ আছে। '

এসময় তিনি জানান, জিনিসপত্রের দামের ওপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়ার কারণে দাম নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যাচ্ছে সরকারের জন্য। এই পরিস্থিতি আগামী ৪-৫ মাস থাকবে।

news24bd.tv/FA