প্রত্যাবর্তনের নতুন গল্প, ফাইনালে মেসির মায়ামি

সংগৃহীত ছবি

প্রত্যাবর্তনের নতুন গল্প, ফাইনালে মেসির মায়ামি

অনলাইন ডেস্ক

মেসি মানেই যেন নতুন কোনো সফলতার গল্প। দল যখন হারের পথে তখন তো কিংবদন্তিরাই পার্থক্য গড়ে দেন। লিওনেল মেসিও তাই করলেন। ইউএস ওপেন কাপ সেমিফাইনালে তখন যোগ করা সময়ের খেলা চলছে।

২–১ গোলে এগিয়ে এফসি সিনসিনাটি। শেষ বাঁশি বাজতে আর সর্বোচ্চ মিনিট দুয়েক বাকি। ঠিক তখনই বাঁ প্রান্ত থেকে নিখুঁত ক্রস বাড়ালেন মেসি। বলটা বাতাসে ভাসতে ভাসতে ইন্টার মায়ামি ফরোয়ার্ড লিওনার্দো কাম্পানার মাথায় এমনভাবে গিয়ে পড়ল যেন প্লেটে তুলে দেওয়া গোল! 

কাম্পানাকে শুধু ঠিকঠাকমতো হেডটা করতে হয়েছে।

ব্যস, সেই গোলেই সমতায় ফেরে মায়ামি। স্কোরকার্ডে গোলদাতার পাশে কাম্পানার নাম লেখা থাকলেও ওই গোলে মেসিকেই মনে রাখবেন সবাই। ২–২ গোলে মায়ামি সমতায় ফেরার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।  

৯৩ মিনিটে বেঞ্জামিন ক্রেমাশির পাস থেকে বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া শটে গোল করে মায়ামিকে ৩–২ গোলে এগিয়ে দেন জোসেফ মার্তিনেজ। কিন্তু নাটকীয় এই ম্যাচে শেষ অঙ্কের চিত্রনাট্য তখনও শেষ হয়নি। অতিরিক্ত সময়ে পরের অর্ধে ১১৪ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে বল ‘ক্লিয়ার’ করতে পারেননি মায়ামির ডিফেন্ডার। সুবিধামতো জায়গায় বল পেয়ে ডান পায়ের বাঁকানো শটে গোল করে ম্যাচের স্কোর ৩–৩ করেন সিনসিনাটির জাপানি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ইয়ুয়া কুবো।

লুসিয়ানো অ্যাকোস্তার ১৮ মিনিটে করা গোলে প্রথমার্ধ শেষে ১–০ গোলে এগিয়ে ছিল সিনসিনাটি। ৫৩ মিনিটে ব্রান্ডন ভাসকুয়েজের গোলে সেটাই ২–০। মায়ামি এখান থেকে মেসির দুই ‘অ্যাসিস্ট’ এ ঘুরে দাঁড়ালেও রোমাঞ্চকর এই ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়েছে টাইব্রেকারে। সেখানে সিনসিনাটিকে ৫–৪ গোলে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান ফুটবল প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি।

জোড়া গোল করা কাম্পানার প্রথম গোলের উৎসও মেসি। মায়ামি তখন ২–০ গোলে পিছিয়ে। ৬৮ মিনিটে মাঠের একদম বাঁ প্রান্তে ফ্রি কিক পেয়েছিল মায়ামি। মেসির ফ্রি কিকটা বক্সে একদম জটলার মধ্যে ফেলেছিলেন। বল ভালো, কাম্পানার একদম মাথার ওপর! একটু লাফিয়ে হেডে গোল করেন ইকুয়েডর ফরোয়ার্ড। মায়ামির হয়ে ৮ ম্যাচে ১০ গোলের পাশাপাশি ৩টি গোল করালেন মেসি।

টাইব্রেকারে সিনসিনাটির হয়ে প্রথম শটেই লক্ষ্যভেদ করেন কুবো। মায়ামির হয়ে প্রথম শটটি নেন মেসি। বাঁ পাশের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান আর্জেন্টাইন তারকা। এরপর সিনসিনাটির সান্তিয়াগো আরিয়াস ও মায়ামির ফাকুন্দো ফারিয়াস দুজনেই লক্ষ্যভেদ করেন। টাইব্রেকারের স্কোরকার্ডে ২–২ গোলে সমতা, সেখান থেকে ৪–৪ এবং তারপর মায়ামির গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডার সিনসিনাটির নিক হ্যাগল্যান্ডের শট রুখে দেন। বেঞ্জামিন ক্রেমাশি এসে গোল করে মায়ামিকে টাইব্রেকারে ৫–৪ ব্যবধানের জয় এনে দেন।

news24bd.tv/আইএএম