বিএনপির আন্দোলন সুনামি শুধুই কাল্পনিক: ওবায়দুল কাদের 

সংগৃহীত ছবি

বিএনপির আন্দোলন সুনামি শুধুই কাল্পনিক: ওবায়দুল কাদের 

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির গণঅভ্যুত্থান বা সুনামি শুধুই কাল্পনিক।  

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভী রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।  

আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা জানানোর শেষে আইভী রহমানের প্রতি পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান তার ছেলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

 

এনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে যারা গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করে, তাদের রাজনীতি হত্যা ও ষড়যন্ত্রের।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্ট এর মাধ্যমে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে জিয়া পরিবার। তাদের টার্গেট বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী লীগ। ১৫ আগস্ট জিয়াউর রহমানের মদদে হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল।

২১ আগস্ট তার ছেলে তারেক রহমানের নির্দেশে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা হয়েছে। আজ গণতন্ত্রের জন্য যারা মায়াকান্না করে, তাদের রাজনীতি হচ্ছে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের।

কাদের বলেন, আমরা দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, এই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত, যারা আজ গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করছে, তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির সহাবস্থানের কোনো সুযোগ আছে কি না?

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশে আন্দোলনের বস্তুগত কোনো পরিস্থিতি বিরাজমান নেই। আন্দোলনের জন্য দুইটা বিষয় লাগে। একটা অবজেক্টিভ আরেকটা সাবজেক্টিক। তাদের (বিএনপি) অবজেক্টিভ কন্ডিশনও নেই, সাবজেক্টিভ প্রিপারেশনও নেই। তাদের আন্দোলনের নেতারা হতাশ। ক্ষমতা আসার মুলা ঝুলিয়ে নেতাকর্মীদের জড়ো করেছিল। তাদের এসব সমাবেশে জনগণের সম্মেলন ঘটেনি, অংশগ্রহণ ঘটেনি। জনগণ ছাড়া গণআন্দোলন কেমন করে হবে? জনগণ ছিল না, ছিল নেতাকর্মীদের আন্দোলন।

তিনি বলেন, ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বাংলাদেশে ৭৫ থেকে শুরু হয় হত্যাকাণ্ড, ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারাবাহিকতা। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি মূল টার্গেট বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করা, বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকে শুরু করে ৭৫ এর ৩ নভেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট, একই সুতোয় গাঁথা। হরকাতুল জিহাদ, কিলিং এজেন্ট, তাদের কাছে তারেক রহমানের পরিষ্কার নির্দেশ ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। সেদিনের প্রাইম টার্গেট ছিল শেখ হাসিনা।

ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই নারী নেত্রীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

news24bd.tv/আইএএম