তরুণ আইনজীবীর বাসায় তরুণীর মৃত্যু নিয়ে কুষ্টিয়া শহরে তোলপাড় চলছে। আইনজীবী এটাকে আত্মহত্যা বললেও নিহতের পরিবার বলছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় বুধবার রাতে নিহত তুলির মা শরিফা বেগম বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন।
এদিকে মানবাধিকার সংগঠন ও এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তুলির পরিবার।
কুষ্টিয়া শহরে জিলা স্কুলের সামনে এই বাসায় স্ত্রীসহ ভাড়া থাকতেন সদ্য বিবাহিত তরুণ আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সুমন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আইনজীবীর পরিচিত কুষ্টিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস তুলির নিথর দেহ নিচে নামানো হচ্ছে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তুলিকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে মাহমুদুল ও তার স্ত্রী। বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিবারের সঙ্গে মানববন্ধন করেছে মানবাধিকার সংগঠন ও এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সুমনসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের মা। ঘটনার পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সুমন বা তার স্ত্রীকে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, তাদের সামনেই দরজা ভেঙে বের করা হয় তরুণীর মরদেহ। নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস তুলি কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়া এলাকার ওহিদুল মোল্লার মেয়ে।