ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জব্দ করা মাদক ধ্বংস করার সময় পকেটে ইয়াবা তুলে শ্রীঘরে গেলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা। জেলা আদালতে মামলা নিস্পত্তি শেষে জব্দ করা আলামতের মাদক ধ্বংস করার সময় এক হাজার ২২ পিস ইয়াবাসহ একটি প্যাকেট পকেটে লুকিয়ে ফেলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী প্রসিকিউটর মাহমুদুল হাসান। আর এ ঘটনা দেখে ফেলেন এক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। তাতেই ঘটে বিপত্তি।
বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) মামলা করে বিকেলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার মাহমুদুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে কর্মরত ছিলেন।
আদালতের একাধিক সূত্র জানায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মামলা আদালতে নিস্পত্তি করার পর আদালত চত্বরে মাদক ধ্বংস করার আয়োজন করা হয়। বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার এই আয়োজন করা হয়।
এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ে অবস্থান করছেন। ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে প্রকৃত কারণ এখনও জানেন না। এমনটা হয়ে থাকলে দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন জানান, বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিজ চোখে দেখে দেখার পরই তাকে প্রথমে আটক করে। পড়ে পুলিশের মাধ্যমে তল্লাশি করে তার পকেটে ইয়াবা পায়। পরে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এটা তার দায়িত্ববোধ জনিত নৈতিক স্খলন। আমি তার যথাযথ শাস্তির দাবি করছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশের পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার আদালতের মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত জোবায়েদুল হাসান ভূঁইয়া কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে বিকেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা মাহামুদুলকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
News24bd.tv/AA