বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য অনেক দোয়া করি

বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য অনেক দোয়া করি

অনলাইন ডেস্ক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মোছাম্মত মুর্শিদা আক্তার। দুই সন্তান ও স্বামী নিয়ে তাঁর পরিবার। স্বামী বর্গাচাষি। তাঁদের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ।

বড় সন্তানের বয়স ছয় বছর। শিশু শ্রেণিতে পড়ে। সন্তানের পড়ালেখার খরচ ও সংসারের খরচ বহন করা স্বামীর একার পক্ষে কষ্টসাধ্য। মুর্শিদা চান সেলাইয়ের কাজের মাধ্যমে নিজে আয় করে সন্তানের পড়াশোনা করাতে।

এতে তাঁর স্বামীর কষ্ট কিছুটা হলেও কম হবে। তাই তিনি বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে সেলাই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় তাঁকে একটি সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। এ সময় মুর্শিদা বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ আমার অনেক বড় উপকার করল। এই ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারব না। ’

একই উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের মোসা. সাহারা খাতুনের স্বামী মারা গেছেন বেশ কিছুদিন আগে। স্বামীর মৃত্যুর পর তিন সন্তান নিয়ে তাঁর সংসার খুব কষ্ট করে চলে। দুই ছেলে ও এক মেয়ে তাঁর। মেয়ের বিয়ে হয়েছে। বড় ছেলে পাঁচ হাজার টাকা বেতনের একটা চাকরি করে সংসার চালায়। ছোট ছেলে পড়ালেখা করে। বড় ছেলের এই অল্প আয়ে সংসারের খরচের পর অবশিষ্ট কিছু থাকে না। তাই ছোট ছেলের পড়াশোনার খরচ তার চাচার সহযোগিতায় চলত। কিন্তু কিছুদিন আগে তার চাচা মারা যান। এর পর থেকে সন্তানের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে আছে। কিন্তু সাহারা চান তাঁর সন্তান পড়ালেখা করুক। তাই তিনি সেলাইয়ের কাজ করে ছেলের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে নিতে চান। সে উদ্দেশ্যেই তিনি সেলাই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় সেলাই মেশিন পেয়ে তিনি এখন সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন।

অন্যদিকে দুই শিশু সন্তান ও স্বামী নিয়ে জোহরার ছোট্ট সংসার। কিছুদিন আগে কোনো এক রোগের কারণে জোহরা চোখের দৃষ্টি হারাতে শুরু করেন। চিকিৎসা করে চোখ কিছুটা ঠিক হয়েছে। তবে চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে গিয়ে আয়ের উৎস আবাদি জমি বিক্রি করতে হয়। এখন শেষ সম্বল বলতে বসতবাড়ির কোনায় তাঁর স্বামীর ছোট একটি দোকান আছে। দোকান থেকে দৈনিক ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আয় হয়। এই স্বল্প উপার্জনে চলে তাঁদের সংসার। জোহরা চিন্তা করেন, সন্তানরা বড় হলে সংসারে আরো খরচ বাড়বে। তিনি চান সেলাইয়ের কাজ করে স্বামীর সঙ্গে সংসারের হাল ধরবেন এবং সন্তানদের পড়ালেখা করাবেন। তাই তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় সেলাইয়ের কাজ শেখার পর সেলাই মেশিন পেয়েছেন। সেলাই মেশিন পেয়ে তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আল্লাহ তাদের ভালো করুক। অনেক দোয়া করি বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য। ’

এই রকম আরও টপিক