এখন আমি স্বাবলম্বী হতে পারব

এখন আমি স্বাবলম্বী হতে পারব

অনলাইন ডেস্ক

তিন ভাই ও পাঁচ বোনের সংসারে বেড়ে উঠেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লাইলী বেগম। চার বছর বয়সেই তিনি বাবাকে হারিয়েছেন। ভ্যানচালক ভাই অনেক কষ্ট করে সংসারের খরচ চালাতেন। একটু বড় হতেই দিনমজুরের কাজ শুরু করেন লাইলী বেগম।

লেখাপড়া আর করা হয়ে ওঠেনি। ১৩ বছর বয়সেই তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। স্বামী এলাকার স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করেন। এখন তাঁর সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে।
বড় মেয়ে এসএসসি পাস করেছে। মেজো মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছেলে প্রথম শ্রেণিতে। তিন ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় লাইলী বেগমের।

সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান লাইলী। তাই তাদের পড়ালেখার খরচ চালাতে তিনি স্বাবলম্বী হতে চান। তিনি জানতে পারেন বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কথা, যেখানে নারীদের বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। লাইলী বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেলাইয়ের কাজ শিখতে থাকেন খুব আগ্রহের সঙ্গে। কিন্তু চিন্তায় পড়ে যান সেলাই মেশিন কিনবেন কিভাবে! অসহায় নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলতে বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাঁদের একটি করে সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।

বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় লাইলী বেগম একটি সেলাই মেশিন পেয়েছেন। সেলাই মেশিন পেয়ে আনন্দে বলে ওঠেন, ‘এখন আমি সেলাইয়ের কাজ করে মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারব। মেয়েকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারব। পাশাপাশি সংসারের জন্যও খরচ করতে পারব। ’

আরেক অসহায় নারী আম্বিয়া খাতুন। কৃষক স্বামী বেশ কিছুদিন থেকেই অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। আম্বিয়া খাতুনের এক মেয়ে ও এক ছেলে। স্বামী অসুস্থ হওয়ার পর সংসারের দায়িত্ব গিয়ে পড়ে ছেলের কাঁধে। তাই পড়াশোনা শেষ না করতেই বেরিয়ে পড়তে হয় কর্মের সন্ধানে। ছেলের একার উপার্জনে অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার খরচ, সংসার খরচ ও মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় আম্বিয়া খাতুন চিন্তিত হয়ে পড়েন। তাই তিনি নিজেও উপার্জনের পথ খুঁজতে থাকেন। এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের খোঁজ পান।  

জানতে পারেন বিনা মূল্যে সেখানে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তিনি বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেলাই প্রশিক্ষণ নেন। পরে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় সেলাই মেশিন পেয়ে আম্বিয়া খাতুন বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এখন আমি আমার মতো অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়াতে পারব। তাদেরও স্বাবলম্বী করে তুলতে পারব। ’