ফরিদপুরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক

ফরিদপুরে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক চোর চক্রের সাত সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ। শুক্রবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি চোরাই মোটরসাইকেল, ৬টি ইজিবাইক ও চুরিরকাজে ব্যবহৃত ৩টি ‘মাস্টার কি’ উদ্ধার করা হয়।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শনিবার দুপুর ১২টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।

পুলিশ জানায়, গত কয়েকদিন ধরে ফরিদপুরের বিভিন্ন জায়গায় মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক চুরির ঘটনা ঘটে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় পুলিশের ৩টি চৌকস টিম ফরিদপুর সদর উপজেলার রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য মো. রাসেল ওরফে মনির মাতুব্বরকে একটি মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, শহরের কোতয়ালী থানাধীন চর মাধবদিয়া ছনেরটেক এলাকা থেকে বাদসা ফকির নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তার বসতবাড়ির ভেতর থেকে ৩টি মোটরসাইকেল ও একটি রোড মাস্টার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে বিকাল ৪টার দিকে শহরের আরেক জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে সিদ্দিক নামে আরেক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামি সিদ্দিকের বসতবাড়ি থেকে চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামিদের দেয়া তথ্য মতে, শহরের আরেক জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে আলামিন নামে আরেক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি আলামিনের দেওয়া তথ্য মতে, একটি গ্যারেজ থেকে ৩টি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামিদের দেয়া তথ্য মোতাবেক সন্ধ্যা ৭টায় সদরপুর থানাধীন হাটকেষ্টপুর থেকে আরও ৩টি চোরাই ইজিবাইকসহ আয়নাল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে চোরাই মালামাল বিক্রি ও মোটরসাইকেল চুরির কাজে সহযোগিতা করায় শহরের আলীপুর বাদামতলি সড়ক থেকে ইয়াসিন ও নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন থেকে সাদ্দাম নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইমদাদ হোসাইন, সদর সার্কেল মো. সালাউদ্দিন, কোতয়ালী অফিসার ইনচার্জ এম এ জলিলসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।