কুমিল্লায় বিএনপি নেতকর্মীদের ওপর হামলা, আহত ১৫

সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লায় বিএনপি নেতকর্মীদের ওপর হামলা, আহত ১৫

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৬ আগস্ট) ২টার দিকে ইউনিয়নের গৈয়ারভাঙা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।  

হামলায় দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

 

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, আজ বিকাল চারটায় উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলামের বাড়িতে কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরীর। লালমাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াতউল্লাহর নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৪০ থেকে ৫০ জন নেতাকর্মী গৈয়ারভাঙা বাজারে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, গৈয়ারভাঙা বাজারে মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উন্দানিয়া গ্রামে গিয়ে বিএনপির সভাস্থলের মঞ্চ, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন এবং বিএনপির নেতা মফিজুল ইসলামের বাড়িতে লুটপাট চালান।

এ সময় আতঙ্কে মানুষ ছোটাছুটি করে পালাতে থাকেন। একপর্যায়ে অস্ত্রধারীরা গুলি চালায়। এতে মনির হোসেন নামের বিএনপির এককর্মীর মাথায় গুলি লাগে। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ খানের পায়ে ও পেটে গুলি লাগে। এ ছাড়া অন্তত ১৫ জন আহত হন।

গুলিবিদ্ধসহ আহত নেতাকর্মীদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল হাসান বলেন, ‘বিএনপির লোকজন আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করেছে। আমাদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের নাম পরে জানানো হবে। আমরা কোনো হামলা করিনি।

সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মনিরুল হক চৌধুরী মনে হয় দিবাস্বপ্ন দেখছেন। তিনি আমাকে কোথায় দেখলেন? বরং গৈয়ারভাঙ্গা-বেলঘর সড়কে মিছিল চলাকালে বিএনপির লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর গুলি করে। এতে আমাদের আট-নয়জন আহত হন। ’ আহতরা কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনই তাদের পরিচয় আমি বলতে পারছি না। ’ 

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সরকার জানান, বেলঘরের উন্দানিয়া গ্রামে বিএনপির একজন অসুস্থ নেতাকে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল মনিরুল হক চৌধুরী সাহেবের। এ সময় ওই গ্রামে আওয়ামী লীগের একটি শান্তি সমাবেশ হচ্ছিল। আওয়ামী লীগের লোকজন মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির লোকজন ইটপাটকেল ছুড়লে সামান্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তিনি আরও বলেন, ‘গুলি ছোড়া হলে তার কিছু আলামত থাকে। ঘটনাস্থলে আমরা তেমন কোনো আলামত দেখিনি। ’

news24bd.tv/আইএএম