হোমনা ও নবীনগরের ২৯৯ সদস্যের মাঝে সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ

বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ

হোমনা ও নবীনগরের ২৯৯ সদস্যের মাঝে সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কুমিল্লার হোমনার ১১টি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার একটি গ্রামের সদস্যদের মাঝে সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার হোমনা পৌরসভার হরিপুর গ্রামে মোট ২৯৯ জন সদস্যের মাঝে এই সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক, পল্লী চিকিৎসক ও বিভিন্ন শ্রেণির-পেশার মানুষের মাঝে প্রথম কিস্তির ২০৫ জনের মধ্যে প্রত্যেককে ১৫ হাজার করে মোট ৩০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় কিস্তির ৯৪ জন সদস্যের মাঝে ১৫ হাজার করে মোট ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

এ সময় সুবিধাভোগীদের মধ্যে হোমনার শ্রীমুদ্দী গ্রামের খালেদা আক্তার বলেন, ‘বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন আমাগোরে সুদ ছারা টাকা দিছে, এ টাকা দিয়ে হাঁস-মুরগি কিনব।

আর হাঁস-মুরগির ডিম বিক্রি করে আমার সংসার চালামো। আর ডিম বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করতে পারব। হে আল্লাহ, বসুন্ধরা মালিককে অনেক দিন বাঁচিয়া রাইখকো। আমাগো মতো গরিবগোরে আরো টাকা দিয়া যেন স্বাবলম্বী করতে পারে।
'

এ সময় কথা হয় দুলালপুর গ্রামের কোহিনূর বেগমের সাথে। তিনি বলেন, ‘বর্ষার পানি নাইমা গেছে, জমি শুকিয়ে গেছে, টাকার অভাবে জমিতে সবজি চাষ করতে পারিনি। বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের এ টাকা দিয়ে জমিতে সবজির চাষ করব। তা বিক্রি করে সংসার চালাব, আর আয়ের টাকায় ঋণও পরিশোধ করব। '

চরেরগাঁও গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সামছুন নাহার গ্রামের সাধারণ মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেন। প্রাথমিক ওষুধ কেনার জন্য অনেক দূরে যেতে হয়। তাই গ্রামের মানুষকে সেবা দিতে ছোট্ট ফার্মেসিতে ওষুধ তোলার জন্য এ ঋণ তোলেন তিনি। এ টাকায় একদিকে তার আয় আসবে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষকে দূরে গিয়ে ওষুধ কিনতে হবে না। তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমরা সেবা পাচ্ছি। এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে গড়ে উঠুক শোষকমুক্ত সমাজ। ’

বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও কালের কণ্ঠ’র প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কালের কণ্ঠ’র প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। তিনি বলেন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। বাংলাদেশ তথা বিশ্বের নজিরবিহীন এ প্রতিষ্ঠানটি জনগণের মাঝে সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করে নিরীহ মানুষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটি একদিন বাংলাদেশে রোল মডেল হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন হোমনা পৌরসভার দুইবারের মেয়র অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন ডিজিএম মাইমুন কবির, ব্যবস্থাপক মো. চান মিয়া সরকার, সিনিয়র অফিসার মো. মোশাররফ হোসেন, আমির হোসেন, মো. শাহজাহান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান।