বৈঠকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ঝগড়া

সংগৃহীত ছবি

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ

বৈঠকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ঝগড়া

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। সোমবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় সংগঠনের এক বৈঠকে সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বাগবিতণ্ডায় জড়ান। দলীয় একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তেজগাঁওয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

দলীয় একাধিক সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে বলেছে, দীর্ঘদিন ধরেই কিছু বিষয়ে বজলুর রহমান এবং এস এম মান্নানের মধ্যে মতবিরোধ চলছিল। এরই জেরে গতকাল সংগঠনের বৈঠকে তাঁদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ সময় এস এম মান্নান কচি রাগান্বিত হয়ে সভাপতির বিরুদ্ধে নানা বিষোদগার করেন। বৈঠক শেষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বিবদমান দুই নেতাকে নিয়ে কথা বলে তাঁদের শান্ত করেন।

আগামী ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই জনসভা সফল করার লক্ষ্যে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড, ইউনিটের নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  

দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, বৈঠকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য হাবিব হাসানকে বক্তব্য দিতে না দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে ওয়ার্ড পর্যায়ে দলাদলির বিষয়টিও ঝগড়ায় উঠে আসে।
 
সম্প্রতি উত্তরায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার খানের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে যাননি সভাপতি বজলুর রহমান। তিনি কেন যাননি সে বিষয়টি বৈঠকে রূঢ় ভাষায় জানতে চান এস এম মান্নান। এতে ক্ষুব্ধ হন বজলুর রহমান। তিনি কড়া ভাষায় উত্তর দিলে ঝগড়া বেধে যায়।

দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, বর্তমানে ঢাকা মহানগরে থানা ও ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কোনো কমিটি নেই। এ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে নগরের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার মধ্যে মতবিরোধ বেড়েছে।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি কচিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, এখন কোন্দলের সময় নয়। মাত্র চার মাস পরে নির্বাচন। ফলে এখন নিজেদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। কিন্তু সে হয়তো বিষয়টি বুঝতে পারেনি। ’

ঝগড়ার বিষয়ে সংসদ সদস্য হাবিব হাসান বলেন, কিছুটা কথা-কাটাকাটি হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।  

তবে এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  

news24bd.tv/আইএএম