শান্তিতে নোবেলজয়ী, বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ১৬০ বিশ্বনেতার খোলাচিঠি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা বিদেশ থেকে বিবৃতি দিয়েছেন, আমি তাদেরকে আহবান করি তারা এক্সপার্ট পাঠাক। তার বিরুদ্ধে যে মামলা তারা তা খতিয়ে দেখুক। উনারা এসে নিজেরা দেখুক।
মঙ্গলবার বিকালে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তাদের দেখা দরকার এখানে কি কি অসামঞ্জস্যতা আছে। শ্রমিকের অধিকার নিয়ে তো আমাদের অনেক কথা শুনতে হয়। এদেশে কোম্পানি আইনে আছে, লভ্যাংশের ৫ শতাংশ লেবার ওয়েলফেয়ারে দিতে হবে।
আমাদের দেশে সবকিছু আইন মতে চলে। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সরকারের তিনটি অংশ একসঙ্গে চলে। এসবে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারিনা।
কেউ যদি ট্যাক্স না দেয় এবং শ্রমিকের পক্ষ থেকে যদি মামলা হয় তাহলে আমাদের কি সেই হাত আছে যে, আমরা মামলা বন্ধ করে দেব? আপনারাই বলেন। চলমান যে মামলা সেটা বিচারাধীন বলে আমরা আলোচনাও করি না। সেখানে বাইরে থেকে বিবৃতি এনে মামলা প্রত্যাহার করার কথা বলা হচ্ছে!
আবার এই মামলা যেন না হয় সেজন্য ঘুষ দেওয়া। যারা এখন বিবৃতি দিচ্ছে তাদের আমি আহ্বান জানাই এভাবে বিকৃতি না দিয়ে তারা এক্সপার্ট পাঠাক। এখানে ট্যাক্স ফাঁকির বিষয় আসছে। এটাতে যদি কেউ ধরা পড়ে, তাকে তো ট্যাক্স ফেরত দিতে হবে।
এনবিআর থেকে বলা হয়েছে, প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। আদালতে নির্দেশে সেগুলো স্থগিত হয়ে আছে। যেখানে সরকারের অর্থ পাওনা সেখানে তো অর্থ আদায় করতেই হবে। ট্যাক্স দেওয়া তো সকল নাগরিকের দায়িত্ব। ইউরোপ বলেন, আমেরিকা বলেন তারা কি তাদের ট্যাক্স ফাঁকি দেয়? ফিলিপাইনের নোবেল লোরিয়েটের বিরুদ্ধেও তো ট্যাক্স ফাঁকির মামলা দিনের পর দিন চলেছে।
আমাদের দেশে তো ব্যাংক অনেকগুলো। ব্যাংকের এমডিরা চাকরি করেন। গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি সরকারি বেতনভোগী ছিলেন। তিনি বিদেশে কিভাবে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট করেন, কীভাবে বাণিজ্য করেন?
যারা বিবৃতি দিলেন তারা কি এই কথাটা একবারও জিজ্ঞেস করেছেন? তাই তাদেরকে আপনাদের মাধ্যমে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা এক্সপার্ট পাঠান। তবে আইনটা নিজস্ব গতিতেই চলবে, আদালত স্বাধীনভাবে চলবে।
