দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গুলি করে, এ কেমন পুলিশ; প্রশ্ন আমীর খসরুর

দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গুলি করে, এ কেমন পুলিশ; প্রশ্ন আমীর খসরুর

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিরোধী দল প্রতিবাদ করতে পারবে না। তাদের মধ্যে কিসের ভয় যে, সাধারণ নাগরিকরা প্রতিবাদ করতে পারবে না? প্রতিবাদ করতে গেলে বাড়িতে দরজা ভেঙে তাদেরকে গুলি করতে হবে! তাহলে কোন দেশে আমরা বসবাস করি?

গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জে বিএনপির গণমিছিলে পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। তার মধ্যে রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আউয়ালকে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেখতে যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন প্রমুখ।

আমীর খসরু বলেন, শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে আওয়ামী লীগ।

ভোট চুরি প্রকল্পের মধ্যে কোনোটা বাকি নেই। সবাইকে ঢুকিয়ে ফেলেছে।

কেউ বাদ যাচ্ছে না। সুতরাং এদেরকে বিদায় করতে হবে। তাদের বিদায়ের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে’, বলেন বিএনপির সিনিয়র এ নেতা।

তিনি বলেন, বিশ্ব এখন আগের মতো নেই। এখন ঘটনার ঘটার সাথে সাথে বিশ্ব জেনে যায়। আজকে বিশ্ব কেনো বাংলাদেশের মানবাধিকার, নির্বাচন ও অন্যান্য বিষয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছে? কারণ পুলিশের যে আচরণ, তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যে বক্তব্য তাতে প্রমাণিত হয় যে, এদের অধীনে তো নিরাপত্তা মিলবে না। নির্বাচন তো দূরের কথা। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা যেখানে নেই সেখানে নির্বাচন পরের কথা। বাংলাদেশের পুলিশ বাংলাদেশের নাগরিকের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গুলি করছে। এটা কিসের পুলিশ।

আমীর খসরু বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীসহ বিশিষ্ট নাগরকদিরে বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। আসলে একটা দেশের বিচার বিভাগ হলো সবচেয়ে নিরপেক্ষ। কিন্তু কোনো দেশের বিচার বিভাগ যখন মার্কিন ভিসানীতির আওতায় আসে, বিচারকরা যখন রাজনৈতিক বক্তব্য দেন তখন সে দেশের বিচার বিভাগ নিয়ে সাধারণ মানুষের ধারণা কী হবে? বহির্বিশ্বে ধারণা কী হবে? আজকে বিশ্বের ১৭৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি না করতে বিবৃতি দিয়েছেন।