এবার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন এবাদত

এবার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন এবাদত

অনলাইন ডেস্ক

এশিয়া কাপের দলে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাদ পড়েছেন পেসার এবাদত হোসেন। হাঁটুর ইনজুরির কারণে শঙ্কা ছিল তার ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে। অবশেষে সেই শঙ্কা সত্যি হলো। জানা গেছে অপারেশনের কারণে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না তিনি।

এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের দলে ইবাদতকে দলে রাখা হলেও এই পেসার সময়মতো পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় তার জায়গায় তানজিম হাসানকে সুযোগ দেওয়া হয়। এবার বিশ্বকাপেও তাকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল।

বুধবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অন্তত ৯ মাস তিনি মাঠের বাহিরে থাকবেন।

আর ভারতে বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৫ অক্টোবর। এছাড়া ফেসবুকে এবাদত নিজেই জানিয়েছেন তার অস্ত্রোপচারের কথা। জীবনে প্রথমবার অপারেশন থিয়েটারে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে এবাদত সকলের দোয়া চেয়েছেন।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানান, ‘আজ ইবাদতের অপারেশন হচ্ছে। এরপর রিহ্যাব আছে, সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে লম্বা সময় লাগতে পারে। ’

২৯ বছর বয়সী ইবাদত অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) চোটে ভুগছেন। এর আগে ঘরের মাঠে আফগান সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন এবাদত। আফগানিস্তানের ইনিংসের ৪২তম ওভারের তৃতীয় বল করার সময় লাফ দিতে গিয়ে আম্পায়ার গাজী সোহেলের কাঁধে বাড়ি খায় এবাদতের হাত। আর এমন ধাক্কা খেয়ে রানআপে নিজেকে ঠিকঠাক থামাতে পারেননি। ফলে পেছন ঘুরে পড়ে যান মাটিতে, তখনই পায়ে আঘাত পান এবাদত।

এরপর তাকে ৪৮ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কিন্তু এই সময়ে চোট গুরুত্বর অনুধাবন করতে পেরে এই পেসারকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করেন ফিজিও। ধারণা করা হয়েছিল, এশিয়া কাপ দিয়ে আবারও মাঠে ফিরবেন তিনি। তবে পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় তাকে নিয়ে আর ঝুঁকি নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।

শেষ পর্যন্ত তার জায়গায় এশিয়া কাপের স্কোয়াডে জায়গা পান তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এর পরই এবাদতকে বিশ্বকাপে পেতে উঠেপড়ে লাগে বিসিবি। যার কারণে এবাদতের আরও ভালো চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাঠানো হয়। বুধবার সকালে জানা যায়, লন্ডনে ডাক্তারের ছুরিকাঁচির নিচে জেতে হচ্ছে এবাদতকে। যার কারণে দীর্ঘদিনের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে।

মাত্র ১২ ওয়ানডে খেলা ইবাদতের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। গত বছর আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে তাঁর অভিষেক। সে ম্যাচে আগের দুই ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করা সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করে ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু ইবাদতের। এরপর সব মিলিয়ে ১১ ইনিংসে বল করে ২২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।