যে কারণে ঢাকায় আসছেন মার্কিন নিরাপত্তাবিষয়ক উপসহকারী সেক্রেটারি

সংগৃহীত ছবি

যে কারণে ঢাকায় আসছেন মার্কিন নিরাপত্তাবিষয়ক উপসহকারী সেক্রেটারি

ইউএনবি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একের পর এক মার্কিন প্রতিনিধিদের দল আসছে বাংলাদেশে। তবে এবার নির্বাচনকে সামনে রেখে নয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী পর্যায়ের নিরাপত্তা সংলাপ আয়োজনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক-সামরিকবিষয়ক ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত উপসহকারী সেক্রেটারি মিরা রেসনিকের।

সংবাদ সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী পর্যায়ের নিরাপত্তা সংলাপ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর তার ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।

আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অস্ত্র স্থানান্তর ব্যুরোর অফিসের তত্ত্বাবধান করেন রেসনিক। এটি বিদেশি সামরিক বিক্রয়, তৃতীয় পক্ষের স্থানান্তর এবং অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা নিবন্ধের মাধ্যমে সরকার থেকে সরকারে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম স্থানান্তরে বার্ষিক ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি দেয়।

ব্যুরোর নিরাপত্তা সহায়তা অফিসেরও তত্ত্বাবধান করেন রেসনিক। এর আওতায় বার্ষিক মার্কিন নিরাপত্তা খাতে প্রায় ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হয়।

এ ছাড়া এটি প্রতিরক্ষা বিভাগের নিরাপত্তা খাতের সহায়তা কর্মসূচিতে ৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি স্টেট ডিপার্টমেন্টের জন্য তদারকি, পরিকল্পনা ও জোগানের সমন্বয় করে। প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা ও সামরিক কার্যক্রমের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্টকে সরবরাহ করা হয়।

নিরাপত্তা সংলাপে কৌশলগত অগ্রাধিকার ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বেসামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাস দমন এবং সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলাসহ দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব সম্পর্কিত বিস্তৃত বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করতে পারে বাংলাদেশ। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের হুমকি হিসেবে রোহিঙ্গা ইস্যুটিও আলোচনায় আসতে পারে।

গত বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত অষ্টম নিরাপত্তা সংলাপে উভয় পক্ষ জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিএসওএমআইএ) ও অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস সার্ভিসিং এগ্রিমেন্টের (এসিএসএ) মতো প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে 'গঠনমূলক আলোচনা' করেছিল। কারণ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা বাণিজ্য, তথ্য আদান-প্রদান ও সামরিক সহযোগিতার সুযোগ সম্প্রসারণের জন্য জিএসওএমআইএ ও এসিএসএ অপরিহার্য।

সম্প্রতি রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যানের প্রতিনিধি রিচ ম্যাককরমিক এবং ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান এড কেস বাংলাদেশে সফর করেন। এ সময় তারা বিএনপি আওয়ামী লীগ এবং জাপার সংসদ সদস্যদের সাথে বৈঠক করেন।

এর আগে, শনিবার (১২ আগস্ট) চার দিনের সফরে ঢাকায় আসে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেসম্যান রিচার্ড ম্যাককরমিক এবং এড কেস। ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

News24bd.tv/AA