মানব পাচার মামলায় একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি

মানব পাচার মামলায় একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক

বাক প্রতিবন্ধী এক শিশুকে অপহরণ করে পাচার করার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ার আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার বিকালে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন।  

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলো ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার তাসান গ্রামের মৃত্যু আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রবিউল আউয়াল (৪০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।  

মামলার সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে দুলাল মিয়া বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় ২০০৮ সালের ২৮ জুন ওই আসামির বিরুদ্ধে মানবপাচারের ধারায় অভিযোগ করেন।  

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নাবালক পুত্র মো. আল আমিন (বাক প্রতিবন্ধী) ২০০৮ সালের ২০ জুন তার নানা বাড়ি হোগলাপাশা থেকে মুন্সীর হাটে যায়। বিকাল ৫টায় আসামি রবিউল আউয়াল বাদীর নাবালক পুত্রকে দেখে আদর করে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়া যাওয়ার সময় কালীবাড়ী সাকিনের চৌরাস্তায় পাকা রাস্তায় নিয়ে যায়।

সেখানে আসাম স্থানীয় লোকজন সন্দেহ করে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।  

পাথরঘাটা থানার এস আই মো. মাহবুব আলম তদন্ত শেষে ওই বছর ২৪ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বাদী উল্লেখ করেন আসামি একজন পেশাদার পাচারকারী। তার বাকপ্রতিবন্ধী ছেলেকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে কোথাও পাচার করতে চেয়েছিল।