নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপির কালো পতাকা মিছিলকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় মহানগর বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ অনন্ত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ হয়। পরে টিয়ারশেল ছুঁড়ে সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

বুধবার বিকেল চারটার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে কালো পতাকা মিছিল করতে আসে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এসময় পেছন থেকে লাঠি হাতে বিএনপির আরেকটি পক্ষ এসে মিছিলে থাকা নেতা-কর্মীদের পেটানো শুরু করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বিএনপি নেতারা; ভাংচুর করে একটি করে অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও সিএনজি।

সংঘর্ষের ভিডিও করতে গেলে মারধর করা হয় সময় টিভির ক্যামেরাম্যান আরিফ হোসেন ও ৭১ টিভির ক্যামেরাম্যান উল্লাসকে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ধাওয়া দিয়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন হয়েছে।

বিএনপি নেতারা জানান, মঙ্গলবার যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা ও মহানগরের পৃথক চারটি কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এই চার কমিটির পদবঞ্চিত ও পদ পাওয়া নেতার সমর্থকদের মধ্যে বুধবার সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে সাবেক জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজাহারুল ইসলাম জোসেফের লোকজন বেশি হামলা চালিয়েছে।

তবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনের দাবি, বিএনপির কর্মসূচি বন্ধ করতে সরকারি দলের লোকজনের ইন্ধনে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর কালো পতাকা কর্মসূচি চালিয়েছে মহানগরের নেতা-কর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা জানান, ‘বিকেলে প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির কর্মসূচি ছিল। সেখানে নেতা-কর্মীরা কালো পতাকা ও কালো ব্যাজ ধারণ করে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হন। কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বর্তমানে সেখানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। ’