বিপৎসীমার ওপরে ব্রহ্মপুত্রের পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ

সংগৃহীত ছবি

গাইবান্ধা

বিপৎসীমার ওপরে ব্রহ্মপুত্রের পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ

অনলাইন ডেস্ক

উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টিতে গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। জেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে। তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা।

কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নদী তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে পাচঁ শতাধিক ঘরবাড়ি ও কয়েক হাজার বিঘা জমি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চারটি উপজেলার ছোট বন্যার আশঙ্কা করছে বাসিন্দারা।

আজ শুক্রবার বিকাল তিনটায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরে নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

অপরদিকে তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে।

পানি বৃদ্ধির কারণে ফুলছড়ি উপজেলার কটিয়ারভিটা, গুনভড়ি, রতনপুর, উড়িয়া, দক্ষিণ উড়িয়া, সদর উপজেলার নয়ারহাট, সোনারগুড়া, কাটিহারা, কুমারগাড়ী, চরেরগ্রাম , ফকিরপাড়া, সাঘাটার উত্তর শাতালিয়া, দক্ষিণ শাতালিয়া হাসেলকান্দি, বুগারপটলসহ বিভিন্ন এলাকায় আবারও পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এসব এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রাস্তায় পানি ওঠায় চলাচলের দুভোর্গে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ। এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন আতঙ্কে নদী তীরবর্তী মানুষ।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বৃষ্টি পেয়েছে। ছোট আকারের বন্যা দেখা দিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে বাকি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত রাত থেকে তিস্তা ও করতোয়া পানি কমতে শুরু করেছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ চলমান রয়েছে।

News24bd.tv/desk