ভারতের মণিপুরের পর এবার আরেক প্রদেশ রাজস্থানে ঘটেছে বর্বরোচিত এক ঘটনা। আদিবাসী এক নারীকে মারধরের পর বিবস্ত্র করে গ্রাম ঘোরানোর অভিযোগ ওঠেছে তার স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
প্রদেশটির প্রতাপগড় জেলায় হওয়া এই ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী সাহায্যের জন্য আকুতি জানাচ্ছেন।
পুলিশ জানায়, ২১ বছরের ওই নারীর সঙ্গে অন্য এক পুরুষের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার সূত্রপাত্র সেখান থেকেই। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে এরইমধ্যে আটক করা হয়েছে। বাকিদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।
রাজস্থানের মহাপরিচালক (ডিজিপি) উমেশ মিশ্র বলেন, ‘বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি অন্য পুরুষের সঙ্গে বাস করতেন বলে নারীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে তুলে নিয়ে মারধর করে। তারপর বিবস্ত্র করে গ্রামে ঘোরানো হয়। ’
তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তদের গ্রেফতারে ছয়টি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতাপগড়ের পুলিশ সুপার অমিত কুমার ওই গ্রামে অবস্থান করছেন। ’
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তিনি বলেন, ‘সভ্য সমাজে এ ধরনের অপরাধীদের কোনও স্থান নেই। অপরাধীদের যত দ্রুত সম্ভব কারাগারে পাঠানো হবে এবং বিচার করা হবে। ’
এর আগে গত মে মাসে মণিপুর রাজ্যে আদিবাসী দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে ২ নারীকে বিবস্ত্র করে গ্রামে হাঁটানো হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে, ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
সূত্র: এনডিটিভি
news24bd.tv/desk