মিরাজ-শান্তর অনবদ্য সেঞ্চুরি

সংগৃহীত ছবি

মিরাজ-শান্তর অনবদ্য সেঞ্চুরি

অনলাইন ডেস্ক

মেক-শিফট ওপেনার হয়েই বাজিমাত করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এশিয়া কাপে বাঁচা-মরার ম্যাচে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই অলরাউন্ডার তুলে নিয়েছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। আসরের প্রথম ম্যাচে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা নাজমুল হোসেন শান্তও পেয়ে গেছেন তিন অঙ্কের দেখা। তিনিও তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, এ দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে ৩০০'র পথে আছে বাংলাদেশ। ৪৩ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ২৬৩ রান।

আজ রোববার পাকিস্তানের লাহোরে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। নাঈম শেখ প্রথম ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগেই স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৬০ রানে।

সেটাও ৬ রান রেটে। তিনে নেমে তাওহীদ হৃদয় খালি হাতে ফেরার পর শুরু হয় মিরাজ-শান্তর অবিস্মরণীয় জুটির। আফগানদের পেস-স্পিন দুই ডিপার্টমেন্টই দারুণভাবে সামলান তারা।  

মিরাজ তার অর্ধ শতক তুলে নেন ৬৫ বল খেলে। মিরাজ একটু দেখেশুনে খেললেও শান্ত শুরু থেকেই বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন। তিনি ফিফটির মাইলফলক স্পর্শ করেন ছক্কা মেরে ৫৭ বলে। যদিও মাঝে তার মাঠে থাকা নিয়ে দেখা দিয়েছিল অনিশ্চিয়তা। পায়ে টান লাগায় তিনি মাঠ ছেড়েও উঠে যান। তবে আবার ফিরে এসে তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি। এরপর রান তোলার গতি বাড়ান দুজনেই।

রান তোলার গতি বাড়িয়ে মিরাজ সেঞ্চুরি তুলে নেন ১১৫ বলে। ৯ মাস পর ফের সেঞ্চুরি পেলেন তিনি। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। তিন অঙ্কের মাইলফলক স্পর্শ করেই আরও আক্রমণাত্মক হন মিরাজ। তবে মুজিব উর রহমানকে ছক্কা মারার পর আঙুলের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। আহত হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ১১৯ বলে ১১২ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ।

মিরাজ ফেরার পর গত ম্যাচের আক্ষেপ ভোলেন শান্ত। ১০১ বলে তিনি ছুঁয়ে ফেলেন তিন অঙ্কের ঘর। অবশ্য ইনিংস টেনে আরও বড় করতে পারেননি তিনি। শ্রীলঙ্কার মতো এ ম্যাচেও রানআউটের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। তবে তার আগে খেলেন ১০৫ বলে ১০৪ রানের স্মরণীয় ইনিংস। বর্তমানে এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটার।

news24bd.tv/SHS