এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যে কারণে নিষিদ্ধ অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল

সংগৃহীত ছবি

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যে কারণে নিষিদ্ধ অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি নেই। দুর্ঘটনার ঝুঁকির কারণে বাদ পড়েছে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল। পথচারীর হাঁটাচলাও নিষিদ্ধ উড়ালসড়কে। অদূর ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সম্ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত ঢাকা উড়ালসড়ক গত শনিবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার সকাল ছয়টা থেকে পুরোদমে সাধারণ যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।

ঢাকা উড়ালসড়ক প্রকল্পটি সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগের (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ জন্য নির্মাণ শুরুর আগেই চুক্তি হয় বিনিয়োগকারীর সঙ্গে।

চুক্তিতে কোন কোন যানবাহন চলাচল করবে, টোল কত হবে এবং উড়ালসড়কের মালিকানা কীভাবে নির্ধারিত হবে, তা উল্লেখ রয়েছে।

সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, চুক্তিতে সিএনজিটচালিত অটোরিকশাসহ তিন চাকার এবং মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ দুই চাকার যানবাহন চলাচলের সুযোগ রাখা হয়নি। এর মূল কারণ, বিশ্বব্যাপী দ্রুতগতির উড়ালসড়কে কম গতির যানবাহন চলতে দেওয়া হয় না। এই রীতি মেনে ঢাকা উড়ালসড়কেও সুযোগটি রাখা হয়নি। ঢাকা উড়ালসড়কে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলতে পারবে ধরেই নকশা করা হয়েছে।

সরকার অভ্যস্ততা তৈরির জন্য প্রথম দিকে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে ফাঁকা রাস্তায় সরকার নির্ধারিত গতিসীমা মানানো কঠিন। রোববার প্রথম দিন অনেকেই তা মানেননি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র বলছে, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। অটোরিকশা চলতে দেওয়া হলে অন্যান্য দ্রুতগতির যানবাহনের চলাচল ব্যাহত হবে। এ ছাড়া এই উড়ালসড়ক দেশের সবচেয়ে উঁচু উড়ালসড়ক। আগে নির্মাণ করা উড়ালসড়ক, মেট্রোরেলের লাইনের ওপর দিয়ে গেছে এটি। কিছু কিছু স্থানে মাটি থেকে সর্বোচ্চ ২২ মিটার পর্যন্ত উঁচু দিয়ে গেছে। অটোরিকশা ওঠার সময় গতি হারাতে পারে, ইঞ্জিন বিকল হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অন্যান্য যানবাহনের চলাচল ব্যাহত হবে।

এতে অনেকেরই টাকা দিয়ে উড়ালসড়ক ব্যবহারে অনীহা তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে মোটরসাইকেল বেশি গতিতে চলতে গেলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আছে। উড়ালসড়কের ওপর পাল্লা দেওয়া বা রেসিং করতে পারে কেউ কেউ।

সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, নিরাপদ সড়কের কথা বিবেচনায় নিয়ে দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলছে না। বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তিতেও এসব যানবাহন চলার বিষয়টি নেই। তিনি বলেন, উড়ালসড়ক দিয়ে যত যানবাহন চলবে, তা নিচের সড়কে জায়গা বাড়িয়ে দেবে। ফলে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল নিচে দিয়ে চললেও যানজট কম হবে। দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এখন বিবেচনায় নেই বলে তিনি জানান।
news24bd.tv/AA