নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশির হাট ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের প্রবাসী সাইফুল ইসলামের মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহৃত হয়। অপহরণের একদিন পর শুক্রবার রাতে তাকে ফেনীর মহিপাল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নিঝুমের মা আইনুন নাহার বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় অপহরণের মামলা করেন। রোববার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগীর মেডিকেল শেষে আদালতে ওঠানো হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অপহৃত স্কুলছাত্রী চাপরাশিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। ২৯ আগস্ট সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে রামেশ্বরপুর গ্রাম থেকে তাকে অপহরণ করে মো. রুবায়েত (২০) ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন।
রুবায়েত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শাহজাহানের ছেলে। স্কুলছাত্রীর মা কবিরহাট থানায় শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলা দায়ের করেন।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রভাত কর্মকার বলেন, এসময় অপহরণকারী রুবায়েত পালিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকন বলেন, মেয়েটির সঙ্গে ছেলেটির দুঃসম্পর্কের আত্মীয়তার পরিচয় ছিল। তারা ১৫ দিন আগেও একবার পালিয়ে গিয়েছিলো। আমরা স্থানীয়ভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ছেলের বাবা এবং মায়ের উপস্থিতিতে মেয়ের মায়ের জিম্মায় মেয়েকে দিয়ে দিই। তখন ছেলের মা এবং বাবাকে বিশেষ সতর্কবাণীও আমি প্রদান করি ভবিষ্যতে যাতে ছেলে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটায়।
মেয়ের মায়ের অভিযোগ, আমার মেয়ে এখনো অপ্রাপ্তবয়স্ক। গত দুই বছর যাবত এ ছেলে আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্ত্যক্ত করতো। প্রশাসনের কাছে আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। আমি বেশ কয়েকবার ছেলের বাবাকে এ বিষয়ে সতর্ক হবার কথা বলি এবং যাতে তারা যেন মেয়েকে বিরক্ত না করে। যদি ভবিষ্যতে এ ধরনের কিছু করে আমি থানায় মামলা করবো। তারা আমার কথা শোনেনি।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাত কর্মকার বলেন স্কুলছাত্রীকে ফেনীর মহিপাল থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে আসামি রুবায়েতকে পাওয়া যায়নি। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভুক্তভোগী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।