আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ

সংগৃহীত ছবি

এশিয়া কাপ 

আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

এশিয়া কাপে বাঁচা-মরার ম্যাচে আফগানিস্তানকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। দলটির বিপক্ষে তুলে নিয়েছে ৮৯ রানের বিশাল জয়। শ্রীলঙ্কার কাছে বড় হারে আসর শুরু করলেও এ জয়ে টুর্নামেন্টের সুপার ফোর নিশ্চিত হয়ে গেলো টাইগারদের।

আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৩৪ রান জমা করে বাংলাদেশ।

সেই রান তাড়ায় নেমে ৩৩ বল আগেই থামে আফগানদের রানের চাকা। দলটি সবকটি উইকেট হারায় ২৪৫ রান করতেই।   

বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নামা আফগানিস্তানের শুরুটা ছিল বেশ বাজে। শরীফুল ইসলাম দ্বিতীয় ওভারেই ব্রেক থ্রু এনে দেন বাংলাদেশকে।

তার ভেতরের দিকে ঢোকা বল শট খেলতে গিয়ে মিস করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ, বল লাগে প্যাডে। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পরও গুরবাজ রিভিউ নেন। তবে ইমপ্যাক্ট ৩ মিটারের বেশি দূরত্বে আম্পায়ার্স কল ছিল, উইকেটেও তাই। কিন্তু সেটি গুরবাজের পক্ষে আসেনি।

দলীয় ১ রানে প্রথম উইকেট হারানো আফগানরা এরপর পাওয়ারপ্লে দেখেশুনেই কাটিয়ে দেয়। এই সময়ে আসে ৩৭ রান। রহমত শাহকে নিয়ে ইব্রাহিম জাদরান বড় জুটি গড়ার পথেই ছিলেন। তবে সে সময় বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। তার সিম-আপ ডেলিভারিটা ঢুকছিল ভেতরের দিকে, বড় শটের চেষ্টা করেছিলেন রহমত। তবে বলের নাগাল পাননি। ৫৭ বলে ৩৩ রান করে বোল্ড হন তিনি, তাতে থামে ৭৮ রানের জুটি।  

এরপর ফিফটির দেখা পেয়ে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি পথে অগ্রসর হওয়া ইব্রাহিমকে ফেরান হাসান মাহমুদ। তবে এই উইকেটের সমান কৃতিত্ব পাবেন উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকুর রহিমও। হাসানের সিম-আপ ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়েছিলেন ইব্রাহিম, হন এজড। মুশফিক ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণভাবে লুফে নেন সেই ম্যাচ। ইব্রাহিমকে থামতে হয় ৭৪ বলে ৭৫ রান করে।  

ইব্রাহিমকে হারিয়ে সে সময় কিছুটা ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। তাই দলটির অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শুরুটা করেন বেশ সাবধানী। প্রথম ১৭ বলে তিনি করেন মাত্র ৬ রান। পরে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রানের গতি বাড়িয়ে ৫৪ বলেই তিনি তুলে নেন ফিফটি। কিন্তু ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি তিনি। ইনজুরি থেকে ফেরা মেহেদী হাসান মিরাজ নাজিবুল্লাহকে ১৭ রানে বোল্ড করার পর শরীফুলের বলে আউটসাইড-এজড হয়ে ডিপ থার্ডম্যানে ধড়া পড়েন হাশমতুল্লাহ। আফগান অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান।

পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট হারানো আফগানরা এরপর আর বেশি প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। বড় শট খেলতে গিয়ে শরীফুলের বল বোল্ড হন গুলবদিন নাইব (১৫)। একই পরিণতি হয় মোহাম্মদ নবীর (৩), তিনি তাসকিনকে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন ডিপ মিড উইকেটে থাকা আফিফ হোসেনের হাতে। এরপর যা করার রশিদ খান একাই করেছেন। খেলেছেন বেশ বড় কয়েকটি শট। তবে তাতে কমেছে শুধু হারের ব্যবধান।  

রশিদ শেষ পর্যন্ত থামেন তাসকিনের স্লোয়ারে। বড় শট খেলতে গিয়ে তিনি তালুবন্দি হন সাকিবের। ২৪ রান করেন তিনি। এর আগে মুজিব উর রহমানকেও (৪) ফেরান এই পেসার। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। শরীফুলের পকেটে গেছে তিন উইকেট।  

news24bd.tv/SHS