সুন্দরবনের পাশে ‘ম্যানগ্রোভ গ্রাম’

সংগৃহীত ছবি

সুন্দরবনের পাশে ‘ম্যানগ্রোভ গ্রাম’

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রভাব কমাতে তীব্র লবণসহিষ্ণু জাতের গাছ লাগিয়ে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন সন্নিহিত চিলা এলাকাকে করা হচ্ছে ‘ম্যানগ্রোভ গ্রাম’।

সাধারণ গাছের তুলনায় তীব্র লবণসহিষ্ণু ম্যানগ্রোভ বনের প্রতিটি গাছের বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষনের ক্ষমতা চারগুণ বেশি। এমন বাস্তবতায় চিলা এলাকাকে ম্যানগ্রোভ গ্রামে রূপান্তর করতে ইতিমধ্যেই রোপন করা হয়েছে তীব্র লবণসহিষ্ণু জাতের দুই হাজার কেওড়া ও দুই হাজার গোলপাতা গাছের চারা।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ম্যানগ্রোভ বনায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে অঙ্গীকার করেছে।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং রাষ্ট্রীয় এই অঙ্গীকার বায়বায়নে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, এইচএসবিসি ব্যাংক ও ব্র্যাক যৌথভাবে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে গড়ে তুলেছে একটি ম্যানগ্রোভ বন। গ্রাম পর্যায়ে ম্যানগ্রোভ বনায়ন সৃষ্টিতে সুন্দরবন লাগোয়া চিলা এলাকাকে রূপান্তর করা হচ্ছে ম্যানগ্রোভ গ্রামে।

ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির প্রধান আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান জানান, চিলা গ্রামে তীব্র লবণসহিষ্ণু প্রজাতের দুই হাজার কেওড়া ও দুই হাজার গোলপাতা গাছের চারা রোপনের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই তীব্র লবণসহিষ্ণু জাতের আরও ১৫ হাজার গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। এসব ম্যানগ্রোভ গাছ বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণের পাশাপাশি গোলপাতা দিয়ে গৃহনির্মাণ উপকরণ, আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

তিনি আরও বলেন, গোলপাতা ফলের রস থেকে তৈরি হয় গুড়। কেওড়ার ফল দিয়ে আচার ও কেওড়ার পানি মুখরোচক খাবার। কেওড়া ফুলের মধুও বেশ উন্নতমানের। এসব পণ্যের বাজার দর ও চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। এই ম্যানগ্রোভ গাছ লাগিয়ে চিলা গ্রামের মানুষ পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হবে।

news24bd.tv/SHS