যমুনা সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ, ইউরিয়া সংকটের আশঙ্কা

সংগৃহীত ছবি

যমুনা সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ, ইউরিয়া সংকটের আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

দেশের সবচেয়ে বড় ইউরিয়া সার কারখানা যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করেছে। জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত এ কারখানায় গ্যাস সংকটের পাশাপাশি ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারখানার উৎপাদন বন্ধের কারণে জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল ও উত্তরবঙ্গসহ ১৬ জেলায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে ইউরিয়া সারের সংকটের আশঙ্কা করছেন সার ডিলার ও কৃষকরা। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, সার মজুত আছে, কোনো সংকট হবে না।

কারখানা সূত্রে জানা গেছে, কেপিআই-১ মানসম্পন্ন বিসিআইসির যমুনা সার কারখানাটি ১৯৯০ সালে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে যমুনা সার কারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১৭০০ মেট্রিক টন। কিন্তু বিভিন্ন সময় গ্যাস সংকট এবং বিভিন্ন যান্ত্রিক দুর্বলতায় এখন তা কমে ১২০০ থেকে ১৪০০ মেট্রিক টনে নেমে এসেছে।

বাৎসরিক ৩ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বিভিন্ন সংকটের কারণে ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না।

 

কারখানাটিতে পরিমাণ মতো ইউরিয়া সার উৎপাদন করতে প্রতিদিন গ্যাসের প্রয়োজন ৪০ থেকে ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় গ্যাসের চাপ কম থাকায় মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কারখানাটির ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

তারাকান্দি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা নুর ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গ্যাসের চাপ কম থাকায় আমরা যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করতে পারছি না। চাপ বাড়লে গ্যাস সরবরাহ করা হবে।

এ ব্যাপারে যমুনা সারকারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন বলেন, যমুনায় চাহিদামাফিক গ্যাস সরবরাহ না থাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সার মজুদ রয়েছে, সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই।

news24bd.tv/আইএএম