ভারতে বিয়ে করেও শেষ রক্ষা হলো না বাংলাদেশির!

সংগৃহীত ছবি

ভারতে বিয়ে করেও শেষ রক্ষা হলো না বাংলাদেশির!

ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই বাংলাদেশি নাগরিক। অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান এবং জাল নথি রাখার দায়ে মুম্বাই থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন নিজেকে ভারতীয় দাবি করে বিহার রাজ্যের এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত দুজন পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাল নথি ব্যবহার করে অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী দুই বাংলাদেশি নাগরিককে গত সোমবার গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাইয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভিক্রোলি থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, তারা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে দেশে বসবাস করছিলেন।

এমনকি অভিযুক্তদের একজন দেশটির বিহার রাজ্যের এক নারীকে বিয়েও করেন।

মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বন্ধুত্ব করে ওই নারীকে বিয়ে করেন অভিযুক্তদের একজন।

ফ্রি প্রেস জার্নাল বলছে, ভিক্রোলি পুলিশের অ্যান্টি-টেরোরিস্ট সেল (এটিসি) দুই অভিযুক্তের বিষয়ে গোপন তথ্য পেয়ে অভিযান শুরু করে এবং ২ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ওই দুই নাগরিকের নাম রিপন মুর্শিদ আলী (২৯) এবং বিলাল মুস্তাক হুসেন (৩২)।

তার দুজনেই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা এবং ভারতে পাড়ি জমানের পর মুম্বাই শহরের ভিক্রোলি পূর্বের ঠাকুর নগরের বস্তিতে বসবাস করছিলেন।

এটিসি প্রধান এপিআই প্রকাশ ইঙ্গলের নেতৃত্বে ব্যাপক তল্লাশি অভিযানের পরে দুই অভিযুক্তকে তাদের ঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিলাল প্রায়ই পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করলেও রিপন কাজের প্রয়োজনে শহরেই থাকত।

এর আগে প্রায় ছয়-সাত বছর আগে বিলালের সঙ্গে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে রিপন। একপর্যায়ে রিপন বিহারের এক নারীর সাথে পরিচিত হয় এবং তার সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যাট শুরু করে। এমনকি তার সাথে দেখা করতে বিহারেও যায় রিপন।

বেশ কয়েক বছরের আলাপচারিতার পর চার মাস আগে বিহারের পাটনার কাছে একটি গ্রামে ছোট অনুষ্ঠানে তাদের বিয়ে হয়। ওই নারীর বয়স ২০ বছরের বেশি এবং রিপন বা বিলালের বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার বিষয়টি তিনি জানতেন না বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। কারণ অভিযুক্ত দুজনেই ভারতীয় নাগরিক হিসাবে নিজেদের জাহির করেছিল।

পুলিশ সূত্র জানায়, অভিযুক্ত এই দুই বাংলাদেশি নাগরিকের পরিকল্পনা ছিল ধীরে ধীরে তাদের পরিবারের সদস্যদের ভারতে এনে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করা।

ইঙ্গেল জানিয়েছেন, তারা এখন রিপনের স্ত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যদেরসহ অভিযুক্ত ও জড়িত সকল পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি, পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) এবং ফরেনার্স অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর দুজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

news24bd.tv/AA