বাগেরহাটে নৌ চ্যানেলে দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র ভাঙন

বাগেরহাটে নৌ চ্যানেলে দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র ভাঙন

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

মোংলা-ঘোষিয়াখালী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলে বাগেরহাটের রামপাল সরকারি কলেজের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশ দিয়ে বগুড়া ব্রীজ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার জুড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকাজুড়ে ইতোমধ্যেই ৩০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়াও কৃষিজমি, গাছপালা, সড়কসহ শতাধিক একর এলাকা নদী গ্রাস করে নিয়েছে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ড রামপাল রামপাল সরকারি কলেজের সামনের কিছু স্থানে গত বছর জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করলেও এরা বাইরে থাকা রামপাল সরকারি কলেজের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশ থেকে বগুড়া ব্রিজ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার জুড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়ায় জনভোগান্তী চরমে পৌঁছেছে।

বাগেরহাটে পলি জমে মোংলা-ঘোষিয়াখালী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলটি ভরাট হয়ে যাবার পর চার বছর আগে পুনঃখননের পরপরই রামপালের বেশ কিছু এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়। তীব্র ভাঙন কবলিত রামপাল সরকারি কলেজের সামনের কিছু স্থানে গত বছর জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এবার নতুন করে রামপাল সরকারি কলেজের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশ দিয়ে বগুড়া ব্রিজ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার জুড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।  

ভাঙন কবলিত এলাকাজুড়ে ইতোমধ্যেই ৩০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।

এছাড়াও ফসলী জমি, গাছপালা, সড়কসহ শতাধিক একর কৃষি জমি নদী গ্রাস করে নিয়েছে। এছাড়ার ডাকরা, রামপাল সদর খেয়াঘাটের দুইপারে তীব্র নদী ভাঙন দেখে দিয়েছে।

ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা জানান, তাদের খবর কেউ নেয় না, আমরা পরিবার পরিজন ও শিশুদের নিয়ে চরম ঝুঁকিতে বসবাস করছি। রাত হলে নদী ভাঙনের শব্দে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকি। দুশ্চিন্তায় ছেলেমেয়ের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে জানালেও প্রতিকার মিলছে না।

রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড রামপাল রামপাল সরকারি কলেজের সামনের কিছু স্থানে গত বছর জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করলেও এরা বাইরে থাকা রামপাল সরকারি কলেজের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশ থেকে বগুড়া ব্রিজ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার জুড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই বাড়িঘর, কৃষি জমি, গাছপালা, সড়কসহ শতাধিক একর এলাকা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। আমরা বার বার পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
 
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। কয়েকটি স্পটে জিও ব্যাগ ফেলে আশু ভাঙন রোধ করা হয়েছে। রামপাল উপজেলা প্রশাসন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী মহোদয়ের ডিও লেটারসহ চিঠি পাঠালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব।  

news24bd.tv/Kamrul

এই রকম আরও টপিক