করোনা পরীক্ষার আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ, সিভিল সার্জন ওএসডি

করোনা পরীক্ষার আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ, সিভিল সার্জন ওএসডি

অনলাইন ডেস্ক

করোনা পরীক্ষার দুই কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদকে ওএসডি করা হয়েছে। তাঁকে ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. আলমগীর কবীর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।  

প্রজ্ঞাপনে নিয়াজ মোহাম্মদকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অন্যথায় তাঁকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি বা স্ট্যান্ড রিলিজ মর্মে গণ্য করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় খুলনা দুদকে অভিযোগ ও থানায় জিডি করি। অভিযোগ দিলাম আমি, অথচ আমাকেই আসামি করা হলো। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।

এরপরও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি ঢাকায় যোগদান করব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। ’

এদিকে গোপালগঞ্জের নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. জিল্লুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৭ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিয়াজ মোহাম্মদ, খুলনার সাবেক সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করোনা পরীক্ষার ফির দুই কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত নিয়াজ মোহাম্মদ ও সুজাত আহমেদ পৃথক মেয়াদে খুলনার সিভিল সার্জনের দায়িত্ব পালন করেন।

এ সময় খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হতো। তবে ল্যাবে যে পরিমাণ নমুনা পাঠানো হতো তার চেয়ে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে টেস্টের ফির টাকা আত্মসাৎ করা হয়।  

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ফি আদায় করা হয় চার কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা। তবে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয় এক কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা।  

২০২২ সালে ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ খুলনা থেকে বদলি হয়ে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন। সুজাত আহমেদ চাকরি থেকে অবসরে গেছেন।

টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ২০২১ সালের নভেম্বরে খুলনা থানায় মামলা করেন।