ভারতের নয়া দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের আজ রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) শেষ দিন। এ দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানসহ বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলাপ করেন। এর আগে শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের পাশাপাশি মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ৯টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এসব দেশের নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।   

বৈঠক শেষে আজ দেশে ফেরার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে বেলা সাড়ে ৩টায় তাঁর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নরেদ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)— কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সংস্কৃতি বিনিময়, বাংলাদেশি টাকা এবং ভারতীয় রুপি (দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে) লেনদেন সহজ করার বিষয়ে স্বাক্ষরিত হয়।

৯ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিন্ন ভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য— ‘ওয়ান আর্থ, ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান ফিউচার’ শীর্ষক দুটি বক্তৃতা  দেন।

‘ওয়ান আর্থ’ ও ‘ওয়ান ফ্যামিলি’ সেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার মতো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা তুলে ধরেন।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের মেয়াদকালে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য সাফল্যের অভিজ্ঞতা বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে উপস্থাপন করেন।

news24bd.tv/আইএএম