বিবাহ বিচ্ছেদের খবর শুনে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বাদশা মিয়া নামে এক বাবা ও তার মেয়ে রাশেদা আক্তারকে ধারাল ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বাদশা মিয়ার স্ত্রী আঙ্কুরীকেও কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, রাশেদার সঙ্গে তার স্বামী সুমনের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। আহতকে নোয়াখালি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত বাদশা মিয়া চরকলাকোপা গ্রামের মৃত তোবারক আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ৫ বছর পূর্বে লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা সুমনের সঙ্গে রাশেদার বিয়ে হয়।
অনেকদিন হয়ে গেলেও সুমনের কাছে রাশেদা ফিরে না যাওয়ায় বুধবার সন্ধ্যায় সুমন তার স্ত্রীকে নিতে আসে। এ সময় তার স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে ও তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে সে ক্ষিপ্ত হয়ে দরজা বন্ধ করে ফেলে। একপর্যায়ে ধারাল ছুরি দিয়ে রাশেদাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তার বাবা ও মাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সুমন। এ সময় ঘটনাস্থলেই বাবা ও মেয়ে মারা যান। চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সুমন পালিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসেছি। মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
news24bd.tv/Kamrul