ভিক্ষুককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

সংগৃহীত ছবি

ভিক্ষুককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

অনলাইন ডেস্ক

ফেনীতে ভিক্ষুককে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ মামলার মূলহোতা মেহরাজসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার জেলার পৃথক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. মেহরাজ (৩৫) ও সালাউদ্দিন (৩৫)। র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভুক্তভোগী ওই নারী চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন থেকে ভিক্ষা করে ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে এলে মেহরাজ নামে একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে মেহরাজ তাকে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়ে একটি ইট ভাটার শ্রমিকদের শোয়ার ঘরে নিয়ে যায়। পরে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই নারীকে মেহরাজ তার অন্যান্য ৭-৮ জন সহযোগী মিলে ধর্ষণ করে।

পরে তারা ওই নরীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পাশে রেখে পালিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আট জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পরে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম এ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেনী মডেল থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মেহরাজকে ফেনীর দাগনভূইয়া থানার ধীলপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার সালাউদ্দিন নোয়াখালী সদর থানার চরজুবলী গ্রামের মৃত আলী আহম্মদ ছেলে এবং মেহরাজ একই জেলার হাতিয়া থানার ইউনুছপুর ফকিন্নিপাড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুজন স্বীকার করেছেন যে তারা পরস্পর যোগসাজশে ওই নারীকে আর্থিক সহায়তার কথা বলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ওই ঘটনার পর থেকেই তারা ছদ্মবেশ ধারণ করে ফেনী জেলার বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিল। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তার ওই দুজনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

news24bd.tv/কেআই