পদ্মার ভাঙন থেকে আর মাত্র ৫ মিটার দূরে আছে কুষ্টিয়ার চর ঘোষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলের দুপাশে ইউ প্যাটার্নে ভেঙে বেশ খানিক ঢুকে পড়েছে প্রমত্তা নদী।
যেকোনো মুহূর্তে ভেঙ্গে নিয়ে যাবে চরাঞ্চলে শিক্ষার বাতি জ্বালানো সচল এই বিদ্যালয়টিকে। পানি ও স্রোতের চাপ বেশি থাকায় জিও টিউব ফেলতে পারছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তবে, জেলা প্রশাসন গুরুত্ব দিচ্ছেন স্কুল চালু রাখার ব্যাপারে।কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে চর সাদীপুর ইউনিয়নকে আলাদা করে রেখেছে পদ্মা নদী। চরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য চর ঘোষপুরে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
পদ্মা নদী থেকে বেশ দূরে প্রতিষ্ঠা করা হলেও গত ২০ বছর ধরে ভাঙতে ভাঙতে নদী এখন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
এ বছর ইউ প্যাটার্নে ভাঙতে ভাঙতে স্কুল গ্রাস করতে দুই পাশ থেকে এগিয়ে এসেছে নদী। আর মাত্র ৫ মিটার দূরে আছে স্কুলটি।
এখনও শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি বিদ্যালয়জুড়ে। কিন্তু আতঙ্ক- নদী সব ভেঙে নিয়ে গেলে বন্ধ না হয়ে যায় পাঠদান।
পানি ও স্রোত বেশি থাকায় এখানে ভাঙন প্রতিরোধে কিছুই করতে পারছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। চাপ কমলে জিও টিউব ফেলবেন তারা। তবে বিদ্যালয়টি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা।
শুধু ঘোষপুরে এই বিদ্যালয়ের কাছেই নয়, কুষ্টিয়ার অন্তত ১০টি পয়েন্টে পদ্মানদী ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে কৃষকের ফসলি জমি।