গণতন্ত্র-মানবাধিকার রক্ষায় যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকার
গণতন্ত্র-মানবাধিকার রক্ষায় যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকার

সংগৃহীত ছবি

গণতন্ত্র-মানবাধিকার রক্ষায় যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকার

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের হাউজ অব লর্ডসে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ শীর্ষক একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্টাডি সার্কেল লন্ডন। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হাউস অফ লর্ডস অ্যাটলি এবং রিড রুমে এ আলোচনা সভায় দুই দেশের রাজনীতিবিদসহ কূটনৈতিক ও স্থানীয় নেতারা আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্বে ছিলেন কিংসক্লেরের লর্ড ডেনিয়েল হান্নান, যিনি নিজেকে 'বাংলাদেশের আত্মার বন্ধু' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন এবং সভায় তিনি যুক্তরাজ্য কর্তৃক বাংলাদেশকে প্রদত্ত বিভিন্ন বাণিজ্যিক সুবিধাদি নিয়ে কথা বলেন।

বক্তাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. গওহর রিজভী এবং সংসদ সদস্য মার্টিন ডে।

 

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার, সাইদা মুনা তাসনীম, যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্কের উপর জোর দিয়ে বলেন, 'আমরা অভিন্ন মূল্যবোধ অনুসরণ করে ধর্মনিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করি। আমাদের লড়াই ধর্মনিরপেক্ষ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির মধ্যে। যুক্তরাজ্যের কাছে আমার বার্তা হল আপনি কোনটি বেছে নেবেন? অবশ্যই ধর্মনিরপেক্ষতা'।

বক্তারা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধর্মনিরপেক্ষ দেশের স্বপ্ন এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপের উপর আলোকপাত করেন।

তারা বলেন, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য দেশের কিছু ইসলামী গোষ্ঠীর প্রচেষ্টার কারণে এই সম্প্রীতি হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল এবং এটি প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের সতর্ক থাকার প্রয়োজন ছিল।

সভায় প্রধান বক্তা ড. মিজানুর রহমান বলেন, 'যখন সুবিধাবাদী বিদেশী শক্তি চরমপন্থাকে মূলধারায় নিয়ে আসে, তখন তা আমাদের গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলে। আসুন, গণতন্ত্রের মৃত্যু ঠেকাতে হাতে হাত রাখি। বাংলাদেশের জনগণকে জানান যে আমি দেশে ফিরে বলব, 'যুক্তরাজ্য আমাদের সাথে আছে এবং আমাদের পাশে আছে'।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন, 'আমি একটি বিষয় মনে করিয়ে দিতে চাই, এখনও আমাদের উপর চাপ রয়েছে। তবুও আমরা গণতন্ত্র রক্ষায় ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছি'।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য টিমোথি লোউটন ও ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনেক সংসদ সদস্য এই অনুষ্ঠানকে সমর্থন করে শুভেচ্ছা জানান।