‘আমি সম্পূর্ণ রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি’

মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন

‘আমি সম্পূর্ণ রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি’

অনলাইন ডেস্ক

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সম্প্রতি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনকে দলের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি শের-ই-বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি। তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও আর্থিক অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার পর এই ঘোষণা আসে।

কিন্তু নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন।

এক ভিডিওতে দেখা যায়, কান্নাকাটি করে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের জবাব দিচ্ছেন তিনি। তার কান্নাকাটির সেই ভিডিওটি এখন বেশ ভাইরাল।  

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন সেই ভিডিওতে বলেন, ‌'এতো বছর ধরে রাজনীতি করে আজ আমার বিরুদ্ধে যে কলঙ্ক উঠেছে তা মানা যায়না, মানতে পারিনা। এরকম ঘটনা যদি ঘটতো তাহলে আমি আমার মুখ দেখাতাম না পরিবারের কাছে।

এখন আমি মানুষের ফোন ধরতে পারিনা।

কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলতে থাকেন, এটা কি কোন ইস্যু হলো? অর্থ আত্মসাত কি না তা ব্যাংক স্টেটমেন্ট নিলেই জানা যেত।  

যৌন হয়রানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুনলাম, আমাকে তারা শোকজ করছেন। কিন্তু আমার অভিযোগ কি সেটাই আমি জানলাম না। মন্ত্রণালয়কে জিজ্ঞেস করলাম, শিক্ষা বোর্ডকে জিজ্ঞেস করলাম-তারা জানালো, আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। এরকম একটা মিথ্যা, বানোয়াট, ভুল তথ্য দিয়ে পরিবারের কাছে, সবার কাছে হেয় প্রতিপন্ন হলাম। সোস্যাল মিডিয়ায় আমার পরিবার নিয়ে, সমাজ নিয়ে পুরো একাকার করে ফেলেছে। অথচ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। যে দুই একজন অভিযোগ করেছেন তাদেরও ভুল ভাঙ্গবে। তারা কার প্ররোচনায় এটা করেছেন তা একদিন হোক, দুই দিন হোক, একদিন হয়তো তারা স্বীকার করবে-আমি সত্যিই নির্দোষ।  

রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমি সম্পূর্ণ রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। আপনারা খোঁজ নেন। শিক্ষার্থীদের আমি পরিবারের মতো আগলে রেখেছি। তারা আমার সন্তানের মতো। কোন শিক্ষক অসুস্থ হলে আমি নিজে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি, রক্তের প্রয়োজন হলে গ্রুপ মিললে রক্ত দিয়েছি। এজন্য ৯৯ ভাগ শিক্ষক আমাকে আদর করেন, স্নেহ করেন, পছন্দ করেন।  

তিনি বলেন, একটা উড়ো চিঠি দিলেই কি তা সঠিক হয়ে গেল? আমি এখন হেরে গেছি। দলের চিঠিটা আমি এখনো হাতে পাইনি। সোস্যাল মিডিয়ায় দেখেছি। সেখানে লেখা হয়েছে, আমি দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করেছি। কিন্তু আমি তো কোন দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করিনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে বিভিন্ন সংস্থা আছে। তারা প্রয়োজন মনে করলে তদন্ত করবেন। এটা তো রাজনীতির কোন ইস্যু হতে পারে না। আমি আসলে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।

সম্পর্কিত খবর