‘সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায়’ স্ত্রী-সন্তানের হাতে খণ্ডবিখণ্ড হাসান

সংগৃহীত ছবি

‘সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায়’ স্ত্রী-সন্তানের হাতে খণ্ডবিখণ্ড হাসান

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামে ট্রলিব্যাগে পাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে পিবিআই। তার নাম মোহাম্মদ হাসান। তিনি বাঁশখালীর কাথারিয়া গ্রামের সাহেব মিয়ার ছেলে। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে নগরের পতেঙ্গা থানার আকমল আলী রোডের ১২ নম্বর ঘাট এলাকার খাল পাড় থেকে তার মরদেহের ৮টি টুকরা উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় জড়িত স্ত্রী ও ছেলেকে হেফাজতে নিয়েছে পিবিআই।

পিবিআই জানায়, সম্পত্তি নিয়ে লিখে না দেওয়ায় নিজের স্ত্রী ও সন্তানেরা মিলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর হাসানকে খুন করে লাশের খণ্ডিত অংশ ফেলেছে নগরের ১২ ঘাট আকমল আলী রোড এলাকার খাল পাড়ে। আজ শনিবার হাসানের মাথা একই জায়গা থেকে উদ্ধার করে পিবিআই।

পিবিআই জানায়, হাসানের ছেলে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন নগরের পতেঙ্গা থানার আকমল আলী রোড এলাকায়।

হাসানের স্ত্রীও কিছুদিন আগে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ছেলের বাসায় আসেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ছেলের বাসায় আসেন হাসান। সম্পত্তি লিখে দেওয়া নিয়ে ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে স্ত্রী, ছেলে মিলে হাসানকে খুন করে। পরে লাশের খণ্ডিত অংশ ফেলে দেয় ১২ নম্বর ঘাট এলাকার খাল পাড়ে।

এনআইডি কার্ড অনুযায়ী, নিহত হাসানের জন্ম তারিখ ১৩ মার্চ ১৯৬১। এই হিসেবে হাসানের বয়স ৬২ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ পরিদর্শক ইলিয়াস খান। তিনি  বলেন, শনিবার সকালে পিবিআই টিম হত্যাকাণ্ডের শিকার হাসানের দেহের অন্যান্য অংশ পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ট্রলিব্যাগে মরদেহের হাত-পা ও আংগুলের ৮ টুকরা উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। পরে সিআইডি ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে এনআইডি ডাটার জন্য পাঠিয়েছিল। এদিকে 'খুনিরা' হাসানের বস্তাবন্দি লাশ নিয়ে একটি ঘর থেকে বের হওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়। যা এখন পিবিআইয়ের হাতে।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হাসান দীর্ঘদিন পরিবার থেকে আলাদা ছিলেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি নগরের আকমল আলী রোডে ছেলের বাসায় ফেরেন। সেখানে আগ থেকেই ছিলেন তার স্ত্রী। হাসান আসার পর তাকে আর কেউ বের হতে দেখেননি। ঘরে ফেরার পর থেকে স্ত্রী ও সন্তানরা তার সম্পত্তি তাদের নামে হস্তান্তরের চাপ দেয়। কিন্তু হাসান একমত না হওয়ায় তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। আমরা তার স্ত্রী ও বড় ছেলেকে হেফাজতে নিয়েছি।

news24bd.tv/aa