বাগেরহাটের মোল্লাহাটের খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে ২২ বছর আগে নিজের নির্বাচনী জনসভায় বোমা হামলায় হতাহতের পুনঃতদন্ত চাইলেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র বাগেরহাট ১ আসনের এমপি শেখ হেলাল উদ্দিন।
আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও আলোচিত এই বোমা হামলায় ৯ জন নিহত ও অর্ধশতক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আহতের ঘটনায় বিচার করতে পারাকে ব্যর্থতা বলে স্বীকার করেন তিনি।
শেখ হেলাল বলেন, মোল্লাহাটে আমার জনসভায় বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনা ছাড়াও শীর্ষ জঙ্গি বাংলা ভাইকে এই এলাকার মানুষই প্রথম আটক করে পুলিশে দিয়েছিল। কয়েকদিন আগে মোল্লাহাটের একটি মাদ্রাসা থেকে চার জঙ্গিকেও পুলিশ আটক করেছে।
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশকে বাঁচাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।
২২ বছর আগে এই দিনে (২৩ সেপ্টেম্বর) শেখ হেলাল উদ্দিনের নির্বাচনী জনসভায় সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ বোমা হামলায় নয়জন ঘটনাস্থলে নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন। সে ঘটনার বিচার দাবিতে শনিবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলা সদরে দলীয় অফিসের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে মানববন্ধন ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি শেখ হেলাল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশ্য করে বলেন, আলোচিত এই বোমা হামলার পুনঃ তদন্তে তিনি ও তার পরিবারসহ আওয়ামী লীগ স্থানীয় নেতাকর্মীরা সর্বত্রক সহযোগিতা করবে।
মোল্লাহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুর আলম সানার সভাপতিত্বে বোমা হামলায় হতাহতদের স্মরণসভায় বাগেরহাট- ২ আসনের এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময় বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন সদস্য বা এমপি হিসেবে না, আমার বাবা বাগেরহাট ১ আসনের এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনের নির্বাচনী জনসভায় বোমা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
বাগেরহাট-ঢাকা মহাসড়কে তিন ঘণ্টা ধরে চলা মানববন্ধন ও স্মরণসভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীদের সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। পরে স্মরণসভা শেষে দলীয় কার্যালয় বোমা হামলায় নিহত নেতাকর্মীদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।