প্রযুক্তির ছোঁয়া যেন সবখানে। ভিক্ষুকও এখন বিকাশের মাধ্যমে ভিক্ষা নিচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার রাজধানী গুলশান এলাকায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভিক্ষা নিয়েছেন একজন নারী।
ওই দিন বিকেল ৪টা নাগাদ ব্যক্তিগত কাজ সেরে গুলশান-২ থেকে গুলশান-১ যাচ্ছিলেন অ্যাডরোল এডুকেশনের চেয়ারম্যান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা তূষার মালেক।
বিকাশের মাধ্যমে তূষার মালেক থেকে দুই টাওয়ালের মূল্য ২০০ টাকা নিয়ে ওই হকার খুশি মনে ফিরে অন্য ক্রেতার কাছে। এমন সময় ষাটোর্ধ্ব এক নারী এসে ভিক্ষা চান তূষার মালেকের কাছে। তূষার মালেক জানান, সচরাচর ভিক্ষুকদের খালি হাতে ফেরান না তিনি। কিন্তু আজ টাকা ক্যাশ না থাকায় ওই ষাটোর্ধ্ব নারীকে বলেন, তার কাছে নগদ টাকা নেই। তাই তিনি দিতে পারছেন না।
তখনই ওই নারী তূষার মালেক বলেন, স্যার আমার বিকাশ আছে, আপনি চাইলে আমার বিকাশে টাকা দিতে পারেন।
বয়োজ্যেষ্ঠ নারীর মুখে এমন কথা শুনে রীতিমতো চমকে যান তিনি। অবাক হয়ে বলেন, সত্যি আপনার বিকাশ নম্বর আছে? তাহলে বলুন নম্বরটি, আমি এখনই দিচ্ছি। ওই নারী তখন তরতর করে মুখস্থ বিকাশ নম্বর বলে ফেলেন। তূষার মালেক অবাক চোখে চেয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত তার বিকাশে সেন্ড মানির মাধ্যমে তাকে টাকা পাঠান।
বিকাশে টাকা পাওয়ার পর হাসি দিয়ে তূষার মালেককে ধন্যবাদ জানান ষাটোর্ধ্ব ওই নারী।
তখন ষাটোর্ধ্ব ওই নারী ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে চেক করেন বিকাশে আসা টাকা। এসএমএস দেখেই হাসি ফোটে তার মুখে। ব্যালেন্স চেক করেই দোয়ার সাগরে ভাসান তূষার মালিককে।
সংবাদ মাধ্যমকে তূষার মালিক বলেন, বিষয়টা আমাকে অবাক করলেও খুশি হয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে মোবাইল ব্যাংকিং পৌঁছে যাওয়ায় তারা খুব উপকৃত হবে। আমাদের দেশ সত্যি এগিয়ে যাচ্ছে।
news24bd.tv/আইএএম