সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ফারজানা রাব্বী বুবলী 

সংগৃহীত ছবি

সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ফারজানা রাব্বী বুবলী 

অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও গাইবান্ধা জেলার নদ বেষ্টিত ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনে আগামী দিনে এমপি কে হবেন তা নিয়ে সাধারণ জনগণের মাঝে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বিশেষ করে এই আসনে বিগত ৭ বারের এমপি সাবেক ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে যে নেতৃত্ব শুন্যতা দেখা দিয়েছে তা থেকে উত্তরণের জন্য যোগ্য নেতৃত্ব কে দিবেন তা নিয়ে নানান শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

কেননা ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলা নদী ভাঙ্গন কবলিত অনগ্রসর একটি এলাকা। এই জনপদের গরীব-অসহায়, দুঃস্থ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে প্রয়াত এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া দিনরাত পরিশ্রম করে গেছেন।

তাঁর পরিশ্রম ও আন্তরিকতার ফলশ্রুতিতে অবহেলিত ভাগ্যহারা এই জগপদের মানুষের কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। তাই এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিযার মৃত্যুতে ফুলছড়ি-সাঘাটার আপামর জনগণ নেতৃত্ব শূন্যতার আশঙ্কা করছে। মানুষের এই  আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে নতুন সূর্য হিসাবে এগিয়ে এসেছে মরহুম এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সুযোগ্য কন্যা ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উত্তরসূরি ফারজানা রাব্বী বুবলী। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিগত প্রায় ২০ বৎসর যাবত ফারজানা রাব্বী বুবলী ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলার আপামর জনসাধারণের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে এসেছেন।

হহ

কীভাবে নেতৃত্ব দিতে হবে, কীভাবে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করতে হবে- দীর্ঘদিন পিতার সান্নিধ্যে থেকে তিল তিল করে সে যোগ্যতা অর্জন করেছেন ফারজানা রাব্বী বুবলী। পিতার যশ-খ্যাতি সহায়-সম্পদ এর পাশাপাশি স্বামী মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার (খুশী) সুপ্রীম কোর্টের একজন বিচারপতি। দুই পরিবারের প্রভাব প্রতিপত্তি, সুনাম ও ব্যাপক জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ফারজানা রাব্বী বুবলীর জনপ্রিয়তা ঈর্ষনীয়।

রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলী বিগত প্রায় ২০ বৎসর ধরে প্রতি রমাজন মাসে ফুলছছড়ি-সাঘাটা উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, সকল মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন, সরকারী, বেসরকারি সকল কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক, কর্মচারী, এতিম, ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য, দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, বিভিন্ন এনজিও সমিতি, শ্রমিক সংগঠনসহ আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে নিজ বাড়ীতে ইফতারসহ নৈশভোজের মাধ্যমে মত বিনিময় করে আসছে। প্রতি বৎসর নিজ তহবিল হতে দলীয় কর্মীসহ অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ, কন্যাদায়গ্রস্থ পিতার কন্যার বিয়েতে অর্থ সহায়তা প্রদান, গরীব মেধাবী ছাত্র- ছাত্রীদের আর্থিক সহয়তা, চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তাসহ মানুষের যেকোন বিপদে-আপদে ফারজানা রাব্বী বুবলী কাজ করে যাচ্ছেন।

ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফুলছড়ি-সাঘাটা আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে ফারজানা রাব্বী বুবলী। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে সরেজমিনে আলাপচারিতায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

ক  

সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা সরদার জানান, 'মরহুম ভেলু ভাই (এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী) যেভাবে ফুলছড়ি-সাঘাটার মানুষের সেবা করে গেছেন তার প্রতিশ্রুতি আমরা ভেলু ভাইয়ের কন্যা ফারজানা রাব্বী বুবলীর মাঝে পেয়েছি'।

সাঘাঠা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের চা দোকানদার, ছমির মিয়া এবং কালির বাজার চা দোকানদার, আঃ কাফি মিয়া জানান, 'বুবলী আপার সঙ্গে দেখা হলে অত্যন্ত হাসিমুখে আন্তরিকতার সাথে কথা বলেন। কোন অহংকার নাই'।

গাইবান্ধা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক আবু তারেক আজিজ তমাল, 'সাঘাটা উপজেলার ছাত্র লীগের সাবেক নেতা কবির সরকার, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ কর্মী রুবেল সরকার জানান, ফুলছড়ি-সাঘাটার রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে আপামর জনতার ভাগ্যোন্নয়নে ফারজানা রাব্বী বুবলীর বিকল্প নেই'।

ঘুরিদহ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম, 'কামালের পাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য বাছের আলী জানান, যখনই কাজের জন্য ভেলু ভাইয়ের কাছে গিয়েছি, বুবলী আপা আমাদের সব সময় সহযোগীতা করেছেন'।

কালির বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সাইফুল ইসলাম জানান, 'বুবলী আপা অত্যন্ত বিনয়ী, ভদ্র এবং অমায়িক মহিলা। দেখা হওয়ার সাথে সাথে মুরুব্বীদের সালাম দেন, কুশল বিনিময় করেন'।

গুনভরি হাই স্কুলের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম জানান, 'বিদ্যালয়ের কোন গরীব শিক্ষার্থীর জন্য সুপারিশ করলে বুবলী আপা সাথে সাথে তাঁর পড়াশুনার বিষয়ে আর্থিক সহয়তা দিতেন'।

জ্ঞ

এদিকে আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, 'মরহুম এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া যেমন আওয়ামী লীগের এমপি হলেও সবার জন্য দরজা খোলা ছিল, তেমনি ফারজানা রাব্বী বুবলীও একজন সহনশীল পরমতসহিষ্ণু, উদার মানষিকতার একজন রাজনৈতিক নেতা। তাকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পত্র দিলে ভিন্ন মতের অনেকেই ভোট দিবে। প্রকৃতপক্ষে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র প্রত্যাশীদের মাঝে আপামর জনতার মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে ফারজানা রাব্বী বুবলী। অন্য কাউকে মনোনয়নপত্র দিলে আসনটি হারাতে পারে আওয়ামী লীগ'।

news24bd.tv/TR