একসময় বড় বড় পালতোলা নৌকা যাতায়াত করতো করতোয়া নদীতে। পণ্য আনা নেওয়া হতো দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। নদীকে কেন্দ্র করে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার হয়েছিল, গড়ে উঠেছিল সভ্যতা। সেদিনের বিশালাকায় স্রোতস্বিনী করতোয়া আজ কঙ্কালসার।
বগুড়া শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া প্রমত্তা নদীটি দখলে দূষণে মৃতপ্রায়। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনাসহ দখল দূষণমুক্ত করতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন হলেও করতোয়া ফিরে পায়নি আগের রূপ। তবে নদী সুরক্ষায় গৃহীত প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন হলে করতোয়ার নাব্যতা ফিরে আনতে কাজ করবে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
আড়াই হাজার বছর আগে যে নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল পুন্ড্র সভ্যতা, কালের আবর্তে সেই করতোয়া আজ মৃতপ্রায়। ঢেউ নেই, নেই পানি। অথচ একসময় এই নদীতে নৌকা চলত, জেলেরা মাছ ধরতেন, নৌকাবাইচে মেতে উঠত নদীপাড়ের মানুষ। নদী ঘিরেই ছিল এখানকার কৃষি, অর্থনীতি, যোগাযোগ ও সংস্কৃতি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশনায় নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেলেও দূষণ রোধে কোনো উদ্যোগ নেই।
তবে করতোয়া নদী নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হক।
বগুড়া অঞ্চলে ১২৩ কিলোমিটার করতোয়া নদী জেলার শেরপুরের চান্দাইকোনায় বাঙালি নদীতে গিয়ে মিলেছে। ১৯৮৮ সালে বন্যার সময় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের খুলশিচাঁদপুর এলাকায় বাঁধ ও স্লুইচ গেট নির্মাণের মাধ্যমে করতোয়া নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা হয়।
news24bd.tv/আইএএম