আজ থেকে আন্তঃনগর ট্রেনসমূহে যুক্ত হলো লাগেজভ্যান। ১৬টি ট্রেন দিয়ে যাত্রা শুরু হলো। পর্যায়ক্রমে সব ট্রেনে লাগেজ ভ্যান সংযোজন করা হবে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে কমলাপুর থেকে সিলেটগামী আন্তঃগর জয়ন্তিকা ট্রেনে লাগেজভ্যান সংযোজন উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
প্রকল্পের জন্য ১২৫টি লাগেজ ভ্যান কেনা হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে সব ট্রেনে লাগানো হবে। একই সঙ্গে ২৮টি ফ্রিজিং লাগেজ কেনা হয়েছে, যা দিয়ে মানুষের কৃষিপণ্য ও অন্যান্য মালামাল পরিবহন করা যাবে।
উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জানান, প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ও অন্যান্য মালামাল কম খরচে পরিবহন করতেই রেলের এই উদ্যোগ। প্রকল্পে হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ১২৫টি লাগেজ ভ্যান (৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ) সহ আরও অন্যান্য রোলিং স্টক (৪০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ, ৫৮০টি মিটারগেজ ওয়াগন ও ৪২০টি ব্রডগেজ ওয়াগন) সংগ্রহের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) ২০১৮ সালের ২৬ জুন অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে অনুমোদিত হয়। পরে ওই বছর জুলাই মাসে ৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান সংগ্রহের জন্য দুটি দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে ও চীনের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট পৃথক দুটি চুক্তি হয়। মোট চুক্তি মূল্য ৩৫৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা (৭৫টি মিটারগেজ লাগেজ ভ্যানের চুক্তি মূল্য ১৮৩ কোটি ২৪ লাখ এবং ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যানের চুক্তি মূল্য ১৭৫ কোটি ১৫ লাখ)।
মন্ত্রী বলেন, রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে (যেখানে প্রচুর শাক-সবজি, মৌসুমি ফল, ফুল এবং অন্যান্য পচনশীল দ্রব্য যেমন– মাছ, মাংস, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি উৎপাদিত হয়) নির্ধারিত আন্তঃনগর ট্রেনের মাধ্যমে লাগেজ ভ্যান যুক্ত করা হবে। এর মাধ্যমে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত দ্রব্য সহজে বাজারজাত করতে পারবেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা দেশের শহরগুলোতে কৃষিজাত পণ্যগুলো সহজে সরবরাহ করতে পারবেন। ফলে দ্রব্য সহজলভ্য হবে এবং ন্যায্যমূল্যে পাওয়া যাবে। এ ট্রেন চালু হলে রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে, যা সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
news24bd.tv/আইএএম