বাংলাদেশ থেকে পাচার করা ১ কোটি রুপি মূল্যের স্বর্ণ মেঘালয়ে উদ্ধার

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ থেকে পাচার করা ১ কোটি রুপি মূল্যের স্বর্ণ মেঘালয়ে উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া এক কোটি রুপি মূল্যমানের ১৪টি স্বর্ণের বার ভারতের মেঘালয় রাজ্যে থেকে উদ্ধার করেছে দেশটির কাস্টমস বিভাগ। শনিবার শিলংয়ের কাস্টমস কর্মকর্তারা সোনা পাচারের এই ঘটনার সাথে জড়িত এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছেন।

আজ রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে শনিবার বাংলাদেশ থেকে পাচার করা বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের চালানসহ একটি গাড়ি গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে গোয়েন্দারা বিশ্বস্ত সূত্রে তথ্য পান। পরে কাস্টমস কমিশনারের নেতৃত্বাধীন কর্মকর্তারা শিলংয়ের ঝালুপাড়ায় একটি মাহিন্দ্রা এক্সইউভি-৫০০ এসইউভি আটক করেন।

গাড়িটিতে একজন যাত্রী ছিলেন, যিনি আসামের রাঙ্গিয়া এলাকায় ব্সবাস করেন। তবে তিনি জন্মসূত্রে পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক।

শিলংয়ের কাস্টমস কমিশনারের (সিসিপি) কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি বিদেশ থেকে আনা চোরাচালানের স্বর্ণ তার কাছে ছিল বলে স্বীকার করেছেন। পরে দুটি প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে ১৪ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

এসব স্বর্ণের মোট ওজন এক কেজি ৬৩২ গ্রামের বেশি। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩২৬ রুপি।

একজন মধ্যস্থকারী ওই ব্যক্তির কাছে ৭ পিস স্বর্ণের বার হস্তান্তর করেছিলেন বলে জানিয়েছেন। তার কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর সিসিপির কর্মকর্তারা ঝালুপাড়া থেকে মধ্যস্থকারীকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি শিলংয়ের বড়বাজারের একটি দোকানে এক নারীর কাছ থেকে সোনাগুলো সংগ্রহ করেন বলে জানান।

পরে ওই দোকানে অভিযান চালিয়ে আরও সাড়ে ৯ লাখ রুপি উদ্ধার করা হয়। এই অর্থ চোরাচালান করা স্বর্ণ বিক্রি থেকে পাওয়া বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিসিপির কর্মকর্তারা দোকান থেকে উদ্ধার করা অর্থও জব্দ করেছেন।

এর আগে, গত মাসে সিসিপি শিলংয়ের কর্মকর্তারা জারাবাত এলাকা থেকে মারুতি-৮০০ সিসির একটি গাড়ি জব্দ করেন। ওই গাড়ি থেকে শিলংয়ে চোরাচালান করা ৫৮২ দশমিক ৭০ গ্রাম ওজনের পাঁচটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় গাড়ির এক যাত্রীকেও গ্রেপ্তার করে সিসিপি।