নিজের নাম, পিতার নাম, ঠিকানা ও পেশা পরিবর্তন করে নিজ এলাকা ছেড়ে ভিন্ন জায়গায় নাগরিকত্ব ও ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন হত্যাকারী। নাম তার ওয়াহিদুল্লাহ। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মৌটুপি গ্রামের মৃত রূপ বাদশার ছেলে তিনি।
রোববার রাত ১১টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বিন্নারবন্দ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কিশোরগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ সোমবার তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভৈরবের মৌটুপি এলাকা সংলগ্ন রসুলপুরের এক ডোবায় অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। বিষয়টি তখন এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
পুলিশ আরও জানায়, ঢাকায় বাদাম বিক্রি করতেন ওয়াহিদুল্লাহ। তার কথিত বন্ধু নিজামের সঙ্গে হত্যার শিকার অজ্ঞাতনামা নারীকে তিনি তার বাড়িতে এনেছিলেন। পরে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
এদিকে ভৈরব থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৯ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পলাতক ওয়াহিদুল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. আল আমিন হোসাইন জানান, পলাতক ওয়াহিদুল্লাহ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। একপর্যায়ে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বিন্নারবন্দ এলাকায় গিয়ে নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে নতুন পরিচয় ধারণ করেন তিনি।
নিজের নাম ও পরিচয় পরিবর্তন করে রাখেন অদুদ মিয়া এবং পিতা ইছব আলী, মাতার নাম-আছব বিবি, সাং-বিন্নারবন্দ, উপজেলা-তাহিরপুর, জেলা-সুনামগঞ্জ, পেশা-কৃষি। ওই এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে তিনি জাতীয় পরিচয় পত্র গ্রহণ করেন। স্ত্রী-সন্তানসহ নতুন ঠিকানায় বসবাস করতেন এবং ওই এলাকায় নিজ নামে জমিও ক্রয় করেন।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিকভাবে ওয়াহিদুল্লাহ তার প্রকৃত নাম ও ঠিকানা অস্বীকার করলেও জিজ্ঞাসাবাদে ছদ্মবেশের কথা স্বীকার করেন বলে জানান তিনি।
news24bd.tv/কেআই